রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিচালক (উপসচিব) জিনাত আরা আহমেদ বলেছেন, যদি সরকারি সহায়তা বৃদ্ধি পায় এবং বর্তমান প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে উঠা যায়, তাহলে বাংলাদেশের চিংড়ি খাত আগামী বছরগুলোতে ৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে সক্ষম হবে। মঙ্গলবার খুলনা শহরের ফিশারিজ ট্রেনিং শ্রিম্প টাওয়াররে আয়োজিত ‘বাগদা ও ভেনামি চিংড়ি থেকে বৈচিত্র্যময় মূল্য সংযোজন পণ্য উৎপাদন’ বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই অনুষ্ঠানে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও চিংড়ি খাত থেকে বেশি আয় করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। জিনাত আরা আহমেদ আরও জানান, সরকার সম্প্রতি ভেনামি চিংড়ি চাষের জন্য অনুমোদন দিয়েছে, যা আগে অনেক দীর্ঘ সময় ধরে বিলম্বিত ছিল। তিনি বলেন, যেখানে বাগদা চিংড়ির এক হেক্টরে উৎপাদন গড়ে ৫০০ কেজি, সেখানে ভেনামি চাষে প্রতি হেক্টরে ১৫,০০০ কেজি পর্যন্ত উৎপাদন সম্ভব। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সহ-সভাপতি শেখ কামরুল আলম, এবং এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) সহকারী পরিচালক পলাশ কুমার ঘোষ। উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি বলেন, চিংড়ি ও মাছের খাত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রধান রপ্তানিমুখী শিল্প এবং দেশের অর্থনীতিতে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, ইপিবি চিংড়ি খাতের উন্নয়ন ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। সভায় বলা হয়, এখন বিশ্বের প্রায় ৫০ লাখের বেশি মানুষ এই শিল্পে জড়িত, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী। একসময় চিংড়ি ছিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত, কিন্তু উচ্চ ফসলের ভেনামি চাষের অনুমোদনের বিলম্ব এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে উৎপাদন অনেকটা পিছিয়ে গেছে। তবে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের চাষের সম্ভাবনা এখনও উল্লেখযোগ্য। এই প্রশিক্ষণে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের হিমায়িত মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার কর্মকর্তা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, হ্যাচারি কর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন অংশগ্রহণকারী অংশ নেন।






