টেকসই বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল সাপ্লাই চেইন প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন হয়েছে। এই উদ্যোগটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। মঙ্গলবার বিডার জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে এই প্ল্যাটফর্ম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, এলডিসি উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করবে। দক্ষতা, মূল্যসংযোজন, গুণগত মান ও ন্যায্য প্রবৃদ্ধিকে সামনে রেখে এই প্ল্যাটফর্ম সরকার, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন অংশীদারদের একত্র করবে, যা আমাদের অর্থনীতির নতুন দিক উন্মোচন করবে। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা যেন একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করি এবং নিজেদের দায়বদ্ধতার মধ্যে রাখি। ২০২৬ সালের শেষে আমরা কোথায় থাকবো, তা সবাই যেন স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন নীতিগত সংস্কার ও বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য সাধনে কাজ করছি। এ প্রচেষ্টা দেশীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে, টেকসই প্রবৃদ্ধি ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স তুনিয়ন বলেন, সাপ্লাই চেইনের মূল ভিত্তিতে রয়েছে মানুষ, শ্রমিক ও উদ্যোক্তা। এই প্ল্যাটফর্ম আমাদের যৌথ সমাধান তৈরির সুযোগ দেবে, যা মর্যাদা, সুযোগ ও অন্তর্ভুক্তির ওপর কেন্দ্রিত। এলডিসি উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে এটি মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আসবে। ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলার উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিকে আরও সবুজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই করার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা একত্রে এসেছে। এই উদ্যোগ জ্ঞানবিনিময়, নীতি-সমন্বয় ও দায়িত্বশীল বিনিয়োগকে এগিয়ে নেবে। অনুষ্ঠানে আইএলও ও ইউএনডিপি কর্মকর্তারা বিডা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পারস্পরিক অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাসহ আরও অংশীজনকে এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। তারা টিম ইউরোপ, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডাসহ উন্নয়ন অংশীদারদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই প্ল্যাটফর্ম নীতি-সংলাপ, সক্ষমতা উন্নয়ন এবং জ্ঞানবিনিময়ের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে, পাশাপাশি সাপ্লাই চেন, নীতিমালা, আন্তর্জাতিক শ্রম মান, টেকসই প্রবৃদ্ধি ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণকে সুসংহত করবে।






