সপ্তাহ দুয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসি জানিয়েছিল, মেক্সিকোতে কোনো সময় হামলা করতে প্রস্তুত রয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ওই সংবাদে হোয়াইট হাউসের ভূ-অভিযানের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ ছিল। গত সোমবার সেই দাবি বাস্তবতা পেয়ে গেছে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
রয়টার্স ও এনবিসি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভাব্য হামলার জন্য একটি খসড়া প্রস্তুত রেখেছেন। তিনি চান, লাতিন অঞ্চলে চলা মাদকবিরোধী যুদ্ধের আওতায় মেক্সিকোকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। ট্রাম্পের এমন কড়া ঘোষণার পর দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সোমবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, “আমি কি মেক্সিকোতে হামলা চালাতে পারি, যাতে মাদক বন্ধ হয়?” এরপর তিনি নিজেই যোগ করেন, “আমি মনে করি, চালানো সম্ভব। আমি মেক্সিকোর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানে আমি কী চাই।”
ট্রাম্প এ সময় বলেন, “আমরা মানুষের জীবন হারাচ্ছি মাদকের কারণে। রাস্তায় বন্দুকওয়ালা ড্রাগ লর্ডদের নেটওয়ার্কের সব রুট আমি জানি।” সপ্তাহ খানেক আগে তিনি বলেছিলেন, “সব ড্রাগ রুট আমি জানি। ড্রাগ লর্ডের ঠিকানা আমার জানার মধ্যে। তাদের বাড়ির সামনের দরজাও আমি চিনি। সংবাদে সবকিছুই আমার জানা।”
অবশ্য, ট্রাম্প বা মার্কিন প্রশাসন কখন, কেমনভাবে হামলা চালাবে, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে এনবিসি সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে মেক্সিকোতেই লক্ষ্য হবে মাদকের বড় বড় ল্যাব ও কার্টেল সদস্যরা। এর জন্য ড্রোন দিয়ে হামলার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, মেক্সিকোের প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম এই সম্ভাব্য হামলার বিরোধিতা স্পষ্ট করে বলেছেন, “আমার দেশের ভেতরে এই ধরনের হামলা আমরা কঠোরভাবে নাকচ করব।”
আল জাজিরাসংস্থার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাতিন আমেরিকা বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক জেফ গারম্যানি বলছেন, মেক্সিকো সিটির এই আপত্তি হয়তো ততটা গুরুত্ব পাবে না। তবে আইনগত কিছু বাধা মার্কিন সরকারের সামনে আসতে পারে।
গারম্যানি উল্লেখ করেন, “মেক্সিকোতে মার্কিন হামলা বাস্তবে খুব বেশি ফলপ্রসূ হবে না। কারণ, মেক্সিকোর মাদক কার্টেলগুলো খুবই শক্তিশালী। গত ২০ বছর ধরে তারা চলমান রক্তক্ষয়ী ‘মাদক-বিরোধী’ যুদ্ধের সঙ্গে লিপ্ত।”






