গাজীপুরের টঙ্গী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সিরাজুল ইসলাম সাথীর বহিষ্কার আদেশ পুনরায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই নেতা টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনা নিশ্চিত করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন অভিযোগে দলীয় নীতিমালা ও সংগঠন পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে নিযুক্ত নায়কের বহিষ্কার হয়েছিল। তবে তার আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল నిర్ణয় নিয়েছে, তিনি আর বহিষ্কৃত থাকবেন না এবং আবার দলের মূল স্তরে ফিরেছেন।
বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার খবর ছড়িয়ে পড়তেই টঙ্গীজুড়ে উৎসবের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় মানুষজন অভিনন্দন জানিয়ে উৎসাহ প্রদান করেন।
নেতা-কর্মীদের মতে, এই প্রক্রিয়া দেরিতে হলেও সঠিক সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনও অপরাধে দোষী নন, বরং রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। অবশেষে দল আমাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে, এতে আমাদের উচ্ছ্বাসের সীমা নেই।’’
নিজের অসদুপায়ে বহিষ্কৃত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তারা বলেন, নানা অপবাদে মানবিক আশা ও স্বপ্নের বিপরীতে মারাত্মক অন্যায় হয়তো হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে, এবং তার ফের নিযুক্তির মাধ্যমে তাঁদের পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সাথী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের একজন নিবেদিত সংগঠক। আমরা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনায় কাজ করছি এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি।’
তিনি কেন্দ্রীয় দল পরিচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘সিএম জিলানী ও রাজিব আহসান সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’






