দেশের স্পিনিং বা সুতা উৎপাদন খাত রক্ষার জন্য অবিলম্বে কার্যকর এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের তিন শীর্ষ সংগঠন—বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ। এই আহ্বানটি উঠে আসে গত মঙ্গলবার এক জরুরি বৈঠকে, যেখানে তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সুতা ও পোশাকশিল্পের চলমান সংকট, বিশেষ করে স্পিনিং খাতে উত্থাপন করেন।
বৈঠকে দেশের বর্তমান স্পিনিং মিলগুলোর পরিস্থিতি ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করে। ব্যবসায়ী নেতারা সতর্ক করে বলেন, যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে দেশের স্পিনিং খাত যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি, দেশের মূল রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক ও বস্ত্র বিদেশি বাজারে আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে, যা এই খাতের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
অতএব, পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়াও, সরকারের সম্প্রতি জারি করা ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক পরিষদের (টিসিসি) যৌথ সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে, সংগঠনগুলো সেই অধ্যাদেশটি প্রত্যাখ্যান করে এবং সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোর দ্রুত সংশোধনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
বস্ত্র ও তৈরির নীতিনির্ধারক নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, যেন দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাত বড় ধরনের সংকটে না পড়ে।






