সেনেগালের পর তিউনিসিয়াকে হারানোর সুযোগও তৈরি হয়েছিল ব্রাজিলের কাছে। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে গত রাতে পিছিয়ে থাকার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় কালো আনচেলত্তির দল। প্রথমবারের মতো পেনাল্টি থেকে সমতাসূচক গোল করে ব্রাজিলকে ফিরে আনে এস্তেভাও। তবে নিজেদের ভুলের কারণে জয়টা এলো না।
ফ্রান্সের লিগ ওয়ান ক্লাব লিলের ডেকাথলন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিল-তিউনিসিয়া মুখোমুখি হয়। ম্যাচে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা কিছুটা সমন্বয়ের অভাব দেখিয়েছে, ফলে আক্রমণে অনেক এলোমেলো ছিল তাদের পারফরম্যান্স। ২৩ মিনিটে তিউনিসিয়ার ফরোয়ার্ড হাজেম মাসতৌরি এক সুন্দর গতিতে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তা পর সেখান থেকে ব্রাজিলের চাপ বাড়ে এবং প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে, পেনাল্টির মাধ্যমে এস্তেভাও সমতা ফেরান।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে একটি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ৭৬ মিনিটে লুকাস পাকেতা পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। এই সুযোগটি যদি তিনি কাজে লাগাতে পারতেন, তাহলে ম্যাচের ফল সম্ভবত ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু পাকেতার এই মিসই ম্যাচের ফলকে প্রভাবিত করে এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ১-১ ড্রয়ে শেষ হয়।
আগামী জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো আয়োজিত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি মনে করেন, তাঁর দল সঠিক পথে এটাই তাদের নিশ্চিত করায়। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে সেরা অবস্থায় থাকতে চাই আমরা। সেনেগালের বিপক্ষে আমাদের খুব ভাল খেলেছি, কিন্তু তিউনিসিয়ার বিপক্ষে খেলা ছিল অনেক কঠিন।’
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ড্রয়ের সময় তাদের বেশ কিছু আক্রমণে গোলের সুযোগও তৈরি হয়েছিল। তবে ব্রাজিলের রক্ষণভাগ শক্তিশালী ছিল এবং গোল করা কঠিন ছিল। ব্রাজিলের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে সেরাটা দেওয়া, যার জন্য দল প্রস্তুত—এমন ধারণাটি কোচ আনচেলত্তি ব্যক্ত করেন।
তবে এই ম্যাচে একটি উদ্বেগের বিষয়ও উঠে এসেছে। তারা লিগামেন্টের চোটের কারণে বেশ জটিল পরিস্থিতিতে আছে, যেমন মিলিতাও এই ম্যাচে খেললেও হঠাৎ করে হালকা অস্বস্তি অনুভব করে মাঠ ছেড়ে যান। এর আগে সেনেগালের বিপক্ষে ব্রাজিল ২-০ গোলে জিতেছিল। ১৮ ম্যাচ থেকে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পয়েন্ট তালিকা পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বিশ্বকাপের আগে এই সময়ের আর কোনো ম্যাচ নয়, তাই কোচ আনচেলত্তি পরিস্থিতি দেখে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।






