বিএنপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ২০১৮ সালে দিনকালে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের বদলে রাতে ভোটের ব্যবস্থাপনা করে সরকার কয়েক হাজার কোটি টাকা লুট করেছে শেখ হাসিনা। তিনি অভিযোগ করেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন, কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি। এত গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ ব্যাংক কিংবা আর্থিক বিষয়ের লুটপাটের কারণে তারা টিকতে পারেননি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার শহীদ খোকন পার্ক প্রাঙ্গণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর দিনব্যাপী সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রিজভী এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কখনো ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি মানবতার জন্য, মানবকল্যাণে ও মানুষের সেবা করে আসছে। আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্যই হলো মানুষের কল্যাণ, এবং এই নীতিই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী লুটপাটের জন্য রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে, তাহলে সেটি হচ্ছে লুটেরা ও দানব। এই ধরনের ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কখনো জনগণের কল্যাণ করতে পারে না। শেখ হাসিনা নিজের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মাধ্যমে চাঁদা তুলেছেন, ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, গোয়েন্দাদের মাধ্যমে তিন হাজার কোটি টাকা ভাগ করে নেন। ব্যাংকের অর্থ, ব্যাংকবাহী অর্থ তথা জনগণের টাকা কীভাবে গেল, তার বিশদ ব্যাখ্যা দেন। ব্যাপারটি হলো, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকা হাওয়া হয়ে গেছে, ও বেসিক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের অর্থও লুট হয়েছে—কার টাকা ছিল এই সবের মধ্যে?
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান। তিনি ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ কে এম মাহবুবর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও আলী আজগর তালুকদার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সহসভাপতি এম আর ইসলাম, শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, রক্তদান কর্মসূচি, হুইলচেয়ার বিতরণ, শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ, কৃষকদের সার ও বীজ বিতরণ এবং শ্রমিকদের পোশাক প্রদান করা হয়।






