গতকাল শুক্রবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুভূত ভূমিকম্পটি একটি বড় ভূমিকম্পের আগাম সংকেত হিসেবে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ ভূমিকম্প গবেষক মেহেদি আহমেদ আনসারী এই ঘটনাকে ‘বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা’ বলে মনে করছেন। বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মতামত ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক আনসারী ধারণা ব্যক্ত করেন, সাধারণত একটি অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প প্রায় শত থেকে দেড়শ বছর পরপরই হতে পারে। বাংলাদেশের আশপাশের এলাকায় বিগত দেড়শ বছরে একটি বড় এবং বেশ কিছু المتوسطমাত্রার ভূমিকম্প ঘটেছে। তাই, আরেকটি বড় ভূমিকম্প কাছাকাছি সময়ে হওয়ার আশঙ্কা আমাদের নজরে এসেছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ভবন নির্মাণে যথাযথ বিল্ডিং কোড না মানলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হতে পারে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। বিশেষ করে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে গড়ে ওঠা ভবনগুলোতে নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
গতকাল সকালে, ঢাকা ও অন্য জেলা থেকে অনুভূত ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী, যেখানে রিকটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৭। আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের রেডিও মেকানিক ইকবাল আহমেদ জানান, এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল ঢাকার আগারগাঁওয়ের প্রায় ১৩ কিলোমিটার পূর্বে।
অভিযোগ, এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মধ্যে তিনজন পুরান ঢাকা আরমানিটোলায়, একজন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এবং দুজন নরসিংদীর সদর থানায়। পাশাপাশি, আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। বিশেষ করে ঢাকাতে বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নানা স্থানে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এদিকে, ভূমিকম্পের এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন, এবং ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।






