বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নির্বাচনে ইনসাফপ্রদান ও ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুবিচারপূর্ণ দেশের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি বলেছেন, দেশের রাজনীতি ও প্রশাসনে বিএনপির মূলমন্ত্র হবে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকা, যা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আদর্শের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারেক রহমান দেশের সব ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন এবং আলেম-ওলামাদের দোয়া ও সমর্থন চেয়ে বলেছেন, যেন তারা একত্রে ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসেন।আজ রোববার বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন তিনি, যেখানে সম্মিলিত ইমাম-খতিব পরিষদ আয়োজিত এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।তারেক রহমান উল্লেখ করেন, দীর্ঘ সময়ের দখলদারি ও শাসনের কারণে প্রমাণিত হয়েছে, ইসলাম, ইমান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে সকলের ঐক্য বিশেষ করে ধর্মীয় নেতাদের সহায়তা অপরিহার্য। তিনি বলেন, একটি কল্যাণমুলক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি এমন একটি পরিকল্পনা নিয়েছে, যেখানে মুসলমানেরা নির্বিঘ্নে কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারবে, নিঃসংকোচে ইবাদত করতে পারবে। একইসঙ্গে অন্য ধর্মের লোকজনের জন্যও দেশের মধ্যে নিরাপদে their ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করার পরিবেশ তৈরি থাকবে।তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ইসলামের মূলনীতি ও বিশ্বাসের সঙ্গে কখনো আপস করবে না বিএনপি, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, লাখ লাখ মসজিদ, মাদ্রাসা, ইমাম ও মুয়াজ্জিনের উন্নয়ন এবং তাদের জন্য সহায়তার জন্য এই দল কাজ করছে। তার কথানে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের আর্থিক সহযোগিতাও। তিনি জানান, ক্ষমতায় এলে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করা হবে। বিশেষ করে, তাদের আর্থিক স্বাবলম্বী করতে ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টকে সুদৃঢ় করে বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণের চিন্তাভাবনা রয়েছে।তিনি আরও বলেন, ইমাম-খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সার্ভিস রুল বা চাকরির নীতিমালা প্রণয়নের দাবি কার্যকরভাবে পূরণ করা হবে। তারেক রহমান বলেন, ইসলাম বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, ইসলামের বিধি-বিধান নিয়ে মতবিরোধ বা ভিন্নমত যেন সমাজে বিভাজন সৃষ্টি না করে, এ জন্য নেতৃস্থানীয় আলেমগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে যদি একটি সমাজ বা রাষ্ট্র গড়ে তোলা হয়, যেখানে মুসলমানরা নির্বিঘ্নে কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন যাপন করতে পারে, তবে দেশটি হবে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ।সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামের আমির শফিকুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজি ও হেফাজত নেতা জুনায়েদ আল হাবিবসহ অনেক বিশিষ্ট নেতা।






