ইয়েমেনে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সোয়াহের রাজধানী সানার একটি বিশেষ অপরাধ আদালত এই রায় প্রদান করে। এই ঘটনা গতকাল রোববার হুতি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের সূত্রে আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্তরা মার্কিন, ইসরায়েলি এবং সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একটি গুপ্তচর নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে কাজ করছিলেন। রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডটি সাধারণের সামনে কার্যকর করা হবে যেন অন্যরাও এই সতর্কবার্তা পায়।
মামলার অন্যdetails বলছে, মোট ২০ জনকে বিচার করা হয়েছিল। এদের মধ্যে এক নারী ও এক পুরুষকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, অন্য একজনকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
হুতি সূত্র জানিয়েছে, মোসাদের কর্মকর্তারা এই অভিযুক্ত ইয়েমেনি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ برقرار করছিলেন। তাদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এই তথ্যের ভিত্তিতে সশস্ত্র ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়, যা বহু মানুষের জীবন নিয়ে যায় এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলি আক্রমণের পর হুতিদের লোহিত সাগর দিয়ে ইসরায়েলমুখী জাহাজে হামলা চালায়। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে যৌথ বিমান হামলা চালায়। তবে গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতির পর হুতিরা এই আক্রমণগুলো স্থগিত করেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল গত এক বছরে ইয়েমেনে ব্যাপক বিমান অভিযান চালিয়েছে। এতে জ্বালানি মজুতাগার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বড় বড় বন্দরে ক্ষতি হয়েছে, এর পাশাপাশি বহু বেসামরিক মানুষের মৃত্যুও ঘটেছে। এ ছাড়াও, গত আগস্টে হুতিরা নিশ্চিত করেন যে, একটি ইসরায়েলি হামলায় তাদের সরকারের প্রধান প cheer আহমেদ আল-রাহাওই নিহত হন।






