বৈঠকের মূল আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের সাথে উজবেকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, ঢাকা-তাসখন্দ বিমান পরিষেবার পুনরায় শুরু, যৌথ বিনিয়োগের বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক তথ্যের দ্রুত বিনিময় করতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া। এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় বুধবার বিকেলে সচিবালয়ের উপদেষ্টার অফিস কক্ষে, যেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষই স্বস্তি প্রকাশ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার ওপর জোর দেন। বিশেষ করে বস্ত্র, চামড়া, কৃষি, ফার্মেসিউটিক্যাল ও এগ্রো-প্রসেসিং সেক্টরে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হয়৷
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের ও উজবেকিস্তানের মধ্যে ইতিহাসপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ককে আরও গভীর ও ফলপ্রসূ করে তোলার জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে চান তাঁরা।
এদিকে, উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সারদর রুস্তামবায়েভ বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাফল্য প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সহযোগিতা আরও বিকশিত করার উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, রাশিয়ান ফেডারেশনের ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯২ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৭.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রপ্তানি হয়েছে ৩২.৮৩ মিলিয়ন ডলার এবং উজবেকিস্তান থেকে বাংলাদেশের আমদানি ছিল ৪.৪০ মিলিয়ন ডলার।
গত বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং দুই দেশ একে অপরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
অবশেষে, বৈঠকে বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, ঢাকা-তাসখন্দ বিমান চলাচল আবার চালু করা, যৌথ বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক তথ্য বিনিময় দ্রুততর করার বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।






