জাতিসংঘ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর মহান অবদানে গভীরভাবে কृतজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য এই বাহিনী অসামান্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পাঠানো এক ধন্যবাদ বার্তায় জাতিসংঘ জানিয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তা বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের সাতটি শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতেও নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেন, দেশের বাইরে থেকে পরিবারকে দূরে রেখে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের কাছে এই সাহসী নারী ও পুরুষদের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ ও প্রশংসা রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ শান্তিরক্ষী হিসাবে কাজ করেছেন, যার মধ্যে বর্তমানে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ দায়িত্বে রয়েছেন। তারা যুদ্ধ-প্রভাবিত জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তির পথপ্রদর্শন করেন। এই কাজের জন্য তারা প্রায়শই অত্যন্ত ব্যক্তিগত ঝুঁকিতে থাকেন, কারণ তাদের পরিবারগুলো হাজার হাজার মাইল দূরে থাকে। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও তারা স্বাধীনভাবে প্রতিদিন সাহস, সহানুভূতি ও ত্যাগের মাধ্যমে কাজ করেন।
এছাড়া, জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব কোনও পুলিশ বা সামরিক বাহিনী নেই; তারা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মাধ্যমে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম চালায়। বর্তমানে দুনিয়াজুড়ে ১০০টিরও বেশি দেশের সেনা ও পুলিশ সদস্যরা এই missie চালিয়ে যাচ্ছেন। এই শান্তিরক্ষীরা প্রায়শই বড় ঝুঁকির মধ্যে থেকেও শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিকাশে অবদান রাখছেন।
জাতিসংঘের কাছে এই শান্তিরক্ষীদের কাজের মূল্য অনেক। তারা বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডেও একনিষ্ঠ—বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা, শান্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তা, বিনামূল্য চিকিৎসা, পশু ও মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, পানি সরবরাহ, স্কুল, এতিমখানা, রাস্তা-সেতু নির্মাণসহ নানা কাজ করে থাকেন। এই সব কর্মকাণ্ড স্থানীয় সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করে ও একত্রিত করে।
সংক্ষেপে, জাতিসংঘ তাদের সেবা ও ত্যাগের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শান্তিরক্ষীদের সম্মান করে। এই সাহসী ও করুণাময় ব্যক্তি ও দলগুলো ছাড়া শান্তি ও নিরাপত্তার এই সংগ্রাম সম্ভব নয়। তাদের অবদান সত্যিই অমূল্য এবং তারা বিশ্ব শান্তির অঙ্গীকারে এক অনুপ্রেরণা।






