পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয় নিয়ে সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি যদি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে এক দিনের মধ্যেই তার জন্য এককালীন ভ্রমণ অনুমতির ব্যবস্থা করা সম্ভব। তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘যদি তিনি আজই বলেন যে তিনি দেশে ফিরতে চান, তাহলে আগামিদিনে আমরা একটি দিনের মধ্যে তার জন্য ভ্রমণ অনুমতি ইস্যু করতে পারব। এরপর তিনি বিমানযোগে দেশে আসতে পারবেন। এটা সম্পূর্ণভাবে তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে।’ এই মন্তব্য তিনি রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ব্যক্ত করেন। এর আয়োজন করে দ্য ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব)। তৌহিদ হোসেন বলেন, সরকার বর্তমানে জানে না যে তারেক রহমান কোথায় আছেন, তবে আশা করেন তিনি দেশের প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে যে কোনো দেশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়াটা অস্বাভাবিক হবে। উল্লেখ্য, কেউ যদি দেশের ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে কিন্তু বৈধ পাসপোর্ট না থাকে, তখন সাধারণত সরকার এককালীন ভ্রমণ অনুমতি দেয় যা এক দিনেরও কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে তৌহিদ বলেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশটি একটু ধীরগতিতে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে, তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে দুই দেশের সম্পর্ক শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে আরও স্বার্থভিত্তিক উন্নত সম্পর্ক চাই।’ প্রশ্ন ওঠে, যদি তারেক রহমান দেশে না ফিরেন, তাহলে কি নির্বাচনী কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে? এ বিষয়ে তৌহিদ বলেন, ব্যক্তির অনুপস্থিতি নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবে না। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিষয়ে তৌহিদ জানান, তিনি ভারতে আছেন বলে ধারণা করা হলেও নয়াদিল্লি কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা দেয়নি। এখনো তার প্রত্যাবর্তনের জন্য কোন আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এই সম্পর্কিত কোনো অফিসিয়াল তথ্য নেই। সবাই জানি তিনি ভারতে আছেন, কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো লিখিতভাবে জানানো হয়নি।






