ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি মোকাবিলায় ওপেকের সদস্য দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছেন। রোববার একটি চিঠি পাঠিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক তেলসম্পদ দখল করতে চাইছে। মাদুরো উল্লেখ করেন, এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের ভারসাম্যকে খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে উৎপাদনকারী দেশগুলোই নয়, ভোক্তাও ব্যাপক হুমকির মুখে পড়ছে। তিনি ওপেক ও ওপেক-প্লাস দেশের কাছে ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক হুমকি ও আকস্মিক আক্রমণের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছেন।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল ভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভেনিজুয়েলার তেল রপ্তানি অনেক কমে গেছে। ২০২৩ সালে ভেনিজুয়েলার তেল রপ্তানি মাত্র ৪.০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের। এর আগে একদিন ট্রাম্প তার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে ঘোষণা দেন, ভেনিজুয়েলার আকাশসীমা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভেনেজুয়েলার পক্ষ থেকে এই দাবিকে ‘ঔপনিবেশিক হুমকি’ হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারাকাসের অভিযোগ, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের তেল ও গ্যাস সম্পদ লুট করতে চাচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে। তারা ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড বিমানবাহী রণতরি সহ যুদ্ধজাহাজ, হাজারো সেনা ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। এই অঞ্চলে মাদকের বিরোধী অভিযান চালানোর নামে তারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, এসব হামলা বিচারের বাইরে এবং আইনবিরোধী। এর ফলে ভেনিজুয়েলা ও অন্যান্য দেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে, যারা মনে করছেন এই সব পদক্ষেপ তাদের স্বার্থের উপর হীন পরিকল্পনার অংশ।






