বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা কেবল সিনেমায় অভিনয়ই করেন না, সামাজিক মাধ্যমে তার সরব উপস্থিতিও রয়েছে। বিয়ে, সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি সবসময় আলোচনায় থাকেন এবং নেটিজেনদের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েন।
অভিনেতা আরবাজ খানকে তিনি প্রায় দুই দশকের দাম্পত্যের পর ২০১৭ সালে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর থেকে দুজনই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন গোপন রেখেছেন। একদিকে আরবাজ জর্জিয়া আন্দ্রিয়ানির সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করেন, অন্যদিকে মালাইকা শোনা যায় অভিনেতা অর্জুন কাপুরের সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণে আলোচনায় আসেন। অর্জুন তার চেয়ে ১২ বছরের ছোট, এ কারণেই কখনো তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। সেই সম্পর্কও শেষ হলে, তিনি হর্ষ মেহেতারকে তার নতুন সম্পর্কের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেন। কিছু সময় ধরে তারা একসঙ্গে ডেটিং করছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, আরবাজ খানের জীবনেও নতুন মোড় আসে। তিনি জর্জিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ৩৫ বছর বয়সী মেকআপ আর্টিস্ট শুরার সঙ্গে বিয়ে করেন। এই বিয়ে দিয়ে তিনি সন্তানও গ্রহণ করেন, যা ৫৮ বছর বয়সে তার জন্য এক আশ্চর্য খবর।
তবে এরই মাঝে, মালাইকার ব্যক্তিগত জীবনের খবরে সামাজিক মাধ্যমে নানা মন্তব্য ওঠে। সম্প্রতি তিনি বারখা দত্তের ‘মোজো স্টোরি’ অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনার শিকার হতে হয়, যেখানে সমাজের দ্বিচারিতাও ফুটে ওঠে।
মালাইকা বলেন, একজন দৃঢ় স্বভাবের নারী হিসেবে সবসময় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। যারা তার জীবনকে ঘিরে মন্তব্য করেন, তাদের জন্য তিনি গভীর শ্রদ্ধা রেখে বলেন, সমাজে এখনও পুরুষ আর মহিলার জন্য আলাদা চোখে দেখা হয়।
অভিনেত্রী বলেন, কীভাবে একজন পুরুষ নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলে, ডিভোর্স করে বা অর্ধেক বয়সি কাউকে বিয়ে করলেও সবাই প্রশংসা করে; কিন্তু একজন নারী একই কাজ করলে তার প্রতি নানা প্রশ্ন ও মন্তব্য করা হয়। এখানেই এখনও আমাদের সমাজে স্টেরিওটাইপ রীতি রয়েছে বলে তিনি আক্ষেপ জানান।
মালাইকা আরও বলেন, একসময় তিনি ভাবতেন যে তিনি কেবল গান করবেন, সংসার করবেন, সন্তান নেবেন। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন, তিনি অনেক বড় স্বপ্ন দেখেন এবং জীবনকে অন্যভাবে উপভোগ করতে চান। তিনি বলেন, ‘আমার মা সব সময় বলতেন, পৃথিবী দেখো, জীবন উপভোগ করো। প্রথম ডেটের জন্য কাউকে বিয়ে করো না।’ কিন্তু আমি সেটাই করেছিলাম, যদিও মা বিশ্বাস করতে পারেননি। তাদের অনেক প্রশ্ন থাকলেও, মা সবসময় আমাদের স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করেন এবং জীবনকে উপভোগের জন্যই প্রেরণা দেন।






