চট্টগ্রামে অবৈধ পণ্য নিরোধে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কঠোর অভিযান চালানোর ফলে বিশাল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এরপ্রেক্ষিতে, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে সংস্থাটি জানিয়েছে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন শেডে অবৈধ ও মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আমদানি করা কসমেটিক্স, অপ্রকাশিত সিগারেট এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ পণ্য আটক করার কারণে কিছু অসাধু পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে কাস্টমসের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে মূল কারণ হলো, কাস্টমসের অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈधামূলক পণ্য শনাক্ত ও বন্দোবস্ত করা, যার ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু অপশক্তি নানা ধরনের হুমকি ও আক্রমণের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকালে, চট্টগ্রামের সিডিএ আবাসিক এলাকার কাছে। তখন দুই কাস্টমস কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান এবং বদরুল আরেফিন ভূইয়া তাদের ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারে করে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন মোটরসাইকেলে আসা তিনজন ছুরিকাঘাতের মতো চাপাতি দিয়ে গাড়ির জানালা ভাঙচুর করে। তারা কারে গুলি চালানোর হুমকি দেয়।
অভিযোগে জানা গেছে, কাস্টমসের এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তারা আমাদের লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে বলে মনে হয়।’ পাশাপাশি তিনি জানান, বিভিন্ন সময় মনোযোগী অভিযান পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পক্ষ তাকে মোবাইলে হুমকি দেয়, যার একটি অভিযোগ তিনি গত ৫ অক্টোবর বন্দর থানায় করেছেন।
অ্যাকাউন্টে আনা হয়, সম্প্রতি চট্টগ্রামে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের অপ্রকাশিত ঘনচিনি, পপি বীজ ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, মে মাসে চালানো অভিযান থেকে ৩০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সিগারেটের চালানও আটক হয়। এসব কার্যক্রমের কারণে ক্ষুব্ধ কিছু অসাধু ধারা তাদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে অপরাধমূলক কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে বলে ধারণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন বন্দরের শেডে গোপনে অন্য পণ্য খালাসের জন্য জালিয়াতি চালানো হয়, যেখানে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে অবৈধভাবে পণ্য আনা হয়। এসব চক্রের যুক্ত থাকার ফলে, গত দুই মাসে বেশকিছু চালান আটক করেছে কর্তৃপক্ষ।
উপকমিশনার তারেক মাহমুদ বলেন, ‘শেডকেন্দ্রিক একটি অসাধু চক্র রয়েছে, যারা মিথ্যা ঘোষণা ও অবৈধ আমদানির মাধ্যমে সুবিধা নেয়। ওইসব চালান আটক করার ফলে ক্ষুব্ধ হয়.initialize করে তাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করছে।’ তিনি নিজেও বিভিন্ন সময় হুমকি পান বলে জানান।
অবশেষে, এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের এই হামলা স্বাভাবিক ব্যবসা এবং কর ধার্যে বাধা সৃষ্টি করছে, যা দেশের রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।






