ক্ষমতাচ্যুৎ হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত অতিক্রম করে তৃতীয় কোনও দেশে যাচ্ছেন কি না, সে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি সরকারের পররাষ্ট্র বিভাগ। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এমন কথা বলেন।
শেখ হাসিনার দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে সমালোচকদের নানা গুঞ্জনে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া অপ্রতিষ্ঠিত গুজব শোনা যাচ্ছে যে তিনি তৃতীয় কোনও দেশে যাচ্ছেন, কিন্তু কূটনৈতিকভাবে এ ধরনের কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় বাংলাদেশের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব নয়। তবে সরকারের মূল লক্ষ্য হলো তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি তাকে ফিরিয়ে আনতে হয়, তাহলে অবশ্যই ভারতের সম্মতি নিতে হবে বা তাদেরকেই আবেদন করতে হবে। আমরা শুধু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, ভারতকে রাজি করানোর জন্য। এর চেয়ে বেশি কিছু করার ক্ষমতা সরকারের নেই।
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে তৌহিদ হোসেন জানান, বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধে সরকার সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, বিদেশিদের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আশঙ্কা নেই। সম্প্রতি র্যাবের কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যা মানিাধিকার রক্ষায় সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা নির্দেশ করে। ডিজিএফআই বা গোয়েন্দা সংস্থা বন্ধের প্রশ্নে তিনি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এ ধরনের সংস্থাগুলো রয়েছে, ফলে এ সব হুট করে বন্ধ করা সম্ভব নয় বা বাস্তবসম্মতও নয়।
ভিসা জটিলতা ও বিদেশে মিশন খোলার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, ভুয়া নথিপত্র বা ফেক ডকুমেন্ট সংশোধনের কার্যক্রম চালু না করা পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা সমস্যা দূর হওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের দায়িত্ব। পাশাপাশি, নতুন করে বিদেশে মিশন চালু করাও সময়সাপেক্ষ এবং অর্থের ব্যাপার।
অতঃপর, ভারতকে পেছনে রেখে পাকিস্তান ও চীনের মতো দেশ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন কোনো জোট গঠনের সম্ভাবনা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এর অগ্রগতি হতে পারে, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে মন্তব্য করার মত পরিস্থিতি নেই।






