মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে দেশের নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা আরও জোরদার করতে এক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি হোয়াইট হাউজ থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নতুন করে আরও সাতটি দেশের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের পাশাপাশি আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নতুন ও আরও কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
নতুন যুক্ত করা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান এবং সিরিয়া। এছাড়াও, যারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত ভ্রমণ নথি ব্যবহার করে দাউদাহোতে প্রবেশের চেষ্টা করবেন, তাদের জন্যও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি, লাওস ও সিয়েরা লিয়নের ওপর আগের আংশিক নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞায় রূপান্তর করা হয়েছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল কারণ হলো বিভিন্ন দেশে নাগরিক পরিচয় যাচাই-বাছাই, স্ক্রিনিং এবং তথ্য আদান-প্রদান প্রক্রিয়ায় গুরুতর ঘাটতি দেখা দেওয়ায় দেশটির নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রাধান্য দেওয়া।
বিশেষ করে সিরিয়ার ওপর এই কঠোর নিষেধাজ্ঞার খবর এসেছে যখন কয়েক মাস আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ও বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল-শারার বৈঠক হয় এবং দেশের পুনর্গঠনে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তবে, সম্প্রতি সিরিয়ায় সন্দেহভাজন আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর ট্রাম্প কড়া প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের অভাবে নাগরিকপত্র ও পাসপোর্ট ইস্যুতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ।
অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে Trump প্রশাসনের এই কঠোর পরিস্থিতি চলতি বছরের শুরুর দিকে আরও দৃঢ় হয়। জানুয়ারির মধ্যে ফের ক্ষমতায় এসে, ট্রাম্প আরও কঠোর নীতির দিকে এগোতে শুরু করেন। এর আগে জুন মাসে ১২টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। সম্প্রতি, ওয়াশিংটন ডিসিতে একজন আফগান নাগরিকের গুলিবর্ষণের ঘটনাও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা তীব্র করে তোলে অভিবাসন নীতিকে। নাইজেরিয়া সহ আরও ১৫টি দেশের ওপর বিভিন্ন মাত্রার আংশিক নিষেধাজ্ঞা ও কঠোরতা চালু থাকছে এই পদক্ষেপের অংশ হিসাবেই।






