লাখো মানুষের অংশগ্রহণে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির দাফরপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার ২০ ডিসেম্বর মধ্যাহ্ন ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার ইমামতি করেন মরহুমের বড় ভাই, পরিচিত আলেম ড. মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক।
জনপ্রিয় এই নেতা ও সমাজসেবকের জানাজায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা সহ সাধারণ জনগণ এই দোআ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নারায়ণগঞ্জের জনপথে গণজমায়েত সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে জানাজার স্থান থেকে খামারবাড়ি পর্যন্ত আশপাশের এলাকায় মানুষের ঢল নামে। তার মরদেহ ওগো হিতের জন্য প্রার্থনা করে মানুষের চোখের জল ঝরে পড়ে।
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর সকালে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত মতে, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশের সকল স্তরে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। শনিবার দেশজুড়ে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়। এর অংশ হিসেবে দেশের সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে থাকা বাংলাদেশি দূতাবাসসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এই শোকবার্তায় দেশের মানুষ গভীর অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং তার পরিবার, বন্ধু ও সহযোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।






