অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী বলেছেন, ছায়ানটে হামলা করা ব্যক্তিদের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রত্যেককে শনাক্ত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) হামলা ও তার পরিপ্রেক্ষিতে ভাঙচুরের পর ছায়ানট পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
ফারুকী বলেন, এমন সময়ে যখন আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, তখন এ ধরনের সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা অনেক বড় নিন্দনীয় ঘটনা। তদন্তের জন্য বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুতই হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে, এতে আর কোনো সন্দেহ নেই। ছায়ানটে হামলার কারণে সংস্থায় বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, ছায়ানট একটি স্বাধীন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, তারা সরকারের তহবিলের ওপর নির্ভর করে না।
ফারুকী আরও বলেন, হামলার ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তারা যদি আমাদের জানায়, আমরা তাদের সহায়তা করব। নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের কেবিনেট বৈঠলেও আলোচনা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা কম হয়। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য আঙুল তুলে দুষ্কৃতকারীদের দমন করা নয়, বরং একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ার পাশে দাঁড়ানো। যেখানে বিভিন্ন সমাজের মানুষ, নানা রুচির মানুষ একত্রে বাস করতে পারবে, একসঙ্গে সহাবস্থান করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, সত্যিকার অর্থে একটি গণতন্ত্রের জন্য দরকার, সব ধরণের মানুষকে সহ্য করার মানসিকতা ও সুযোগ দিতে হবে। আমি চাই, আমাদের সবাই যেন একই টেবিলে বসে একসঙ্গে খাবার খেতে পারি, সবাই আলাদা হলেও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে।
ছায়ানটে হামলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেন, তিনি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখেছেন, তাঁরা দুই-তিন দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারবেন।
সর্বশেষ, ফারুকী মন্তব্য করেন যে, এই ঘটনাটি সম্ভবত নির্বাচনের পরিবেশ volt এর জন্য ঘটানো হয়েছে। এটা কোনো প্রতিবাদ নয়; বরং এর সঙ্গে প্রতিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি প্রশ্ন করেন, আসলে কার সঙ্গে এবং কী জন্য প্রতিবাদ করতে ইচ্ছুক তারা? এর পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, যখন জাতি হাদিকে নিয়ে শোক করছিল, তখন এমন ঘটনায় শোকপ্রকাশের পরিবর্তে কিছু অন্য বিষয়ও প্রাধান্য পেয়েছে।






