আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের মুখোমুখি হতে চলার প্রেক্ষিতে, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছেন যে, বাংলাদেশ পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং সক্ষম যাতে সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর নির্বাচন সম্পন্ন হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং অফিসার এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি স্পষ্ট করে বলেন, অক্টোবর ও নভেম্বরের অস্থিরতা ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে পুলিশ এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে। তিনি আরও বলেন, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা দমন করতে পুলিশ কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনা বা রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা যাচ্ছে রাস্তা বা মহাসড়ক অবরোধের প্রবণতা, যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সতর্ক করে দেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, যদি সমগ্র দেশে শৃঙ্খলা বা ‘অর্ডার’ প্রতিষ্ঠিত না হয়, তবে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহায়তা দেওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। সেই কারণেই মহাসড়ক ও জনপদে অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
অতিরিক্ত, তিনি নির্বাচন কমিশনের নেওয়া বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপের প্রশংসা করেন, বিশেষ করে ইলেক্টরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া এবং ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে প্রয়োজন হলে যেকোনো বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি—এসবকে তিনি অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলেন।
মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক পরিবর্তনগুলো সম্পর্কেও তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চান। সরাসরি, এসপি বা উচ্চতর কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের নির্দেশনা থাকলেও, কনস্টেবল ও সাব-ইন্সপেক্টরসহ অন্যান্য সাধারণ পদের পরিবর্তনের জন্য কোনও স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে চান। শেষপর্যন্ত, তিনি দেশবাসী ও নির্বাচন কমিশনকে আশ্বাস দেন যে, পুলিশ সব শক্তি মিলিয়ে এই নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।






