ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর: নির্বাচন কর্মকর্তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলের অংশ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মো. রাশেদ খান। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে নির্বাচন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দল পরিবর্তনের এই সময়, তিনি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের কাছে এক আবেগঘন বার্তায় ক্ষমা চেয়েছেন।
আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্রে রাশেদ খান তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে দীর্ঘ সময়ে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এই দীর্ঘ পথচলায় যারা তাঁর আচরণ বা বক্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকেন, সবার কাছে তিনি বিনম্রভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
তিনি আরও লিখেছেন, “দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে আপনার সম্মতি পাওয়ায় আমি ধন্য। আমরা যেখানে থাকি না কেন, আমাদের বন্ধন অটুট থাকবে।” ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও মূলত ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত এই পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি ছিল।
প্রায় একই সময়, শুক্রবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের এক সভায় রাশেদ খানকে বিএনপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হয়। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান গণআন্দোলন বিএনপির নেতৃত্বে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে, তাই তারা ভবিষ্যতেও বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাইছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী জোটভুক্ত দলগুলো নিজ নিজ প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য, কিন্তু বিরাট সংখ্যক ছোট দলের জন্য বিজয় অর্জন কঠিন। তাই কৌশলগত কারণেই রাশেদ খানের জন্য ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
রাজপথের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধার এই দলবদল রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তবে রাশেদ খান ও নুরুল হক নুর উভয়ই বিষয়টিকে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের অংশ হিসেবে দেখছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনে রাশেদ খানের এই প্রার্থীতা এলাকার নির্বাচনী পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূল mục্য সরকারের আন্দোলনের সফলতা ধরে রাখা, এবং একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতেই এই ‘নির্বাচনী সমঝোতা’ গ্রহণ করা হয়েছে।






