আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ওসমান হাদির কবর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেছেন। তিনি সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে গুলশানের তাঁর বাস থেকে রওনা দেন। পথে পথে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উৎসাহ ও জঙ্গল দেখা গেছে, বিশেষ করে বনানী ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ধরে মগবাজারের উঁচু ফ্লাইওভার দিয়ে নামার সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে তার বহরটি একটু বিলম্বিত হয়। কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়, যেখানে তেজগাঁও থানার যুবদলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানায়। এরপর তিনি শাহবাগ মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে পৌঁছান। কবর জিয়ারতের সময়, তিনি প্রথমে শহীদ ওসমান হাদির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও ওসমান হাদির কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মনাজাত করেন। এই জিয়ারত অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ-উপাচার্যবৃন্দ, প্রক্টর ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জিয়ারত শেষে তারেক রহমান তাঁর ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। যদিও আজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল, তবে সেটি অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়। এরপর তিনি ধানমন্ডিতে তাঁর শাশুড়ির বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’ যান এবং সেখান থেকে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। মূলত, দেশে ফেরার পর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে এই কর্মসূচিগুলো সম্পন্ন করছেন তিনি।






