বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলগুলোর মাঝে রাজনৈতিক জোট গঠনের অন্যতম সংগঠন হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সম্প্রতি তাদের ১৭০ জ্যেষ্ঠ নেতা একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাঠিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে, যেখানে তারা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে জোট গঠনের সিদ্ধান্তের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। এই ঘটনা গত শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ঘটেছে।চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে ক্ষমতা ভাগাভাগি এবং স্থিতিশীলতা আনয়নের জন্য এই জোট গুরুত্বপূর্ণ। তারা বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠন আসলে সময়োপযোগী ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত, যা দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনে সহায়ক হবে।প্রসঙ্গত, এর আগে দলের ৩০ জন নেতা জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করে চিঠি পাঠায়, যা দলের অভ্যন্তরে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছিল। মূলত, এই ১৭০ নেতার সিদ্ধান্ত একটি শক্তিশালী পাল্টা বার্তা, যা দলটির ভেতরকার বিভাজন কাটিয়ে জোটের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃনির্মাণ, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং এক জনমুখী, দায়বদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে এই জোট গুরুত্বপূর্ণ। নেতারা মনে করেন, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে ও গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দল বা জোটের সঙ্গে সমঝোতা করতেও কোনো আপত্তি নেই। এই সিদ্ধান্তের ফলে এনসিপি নির্বাচনী মাঠে আরও শক্তিশালী অবস্থান লাভ করতে সক্ষম হবে বলে তাঁরা বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন।চিঠিতে কেন্দ্রিয় নেতাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যদি দলের কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব জোট বা নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন, তবে তারা সম্পূর্ণ সমর্থন ও সম্মতি দেবেন।সূত্রমতে, জোটের পক্ষে থাকা এই নেতাদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে এবং এটি ১৭০ ছাড়িয়েও যেতে পারে। নির্বাচনের আগে এই ধরনের শক্তিশালী সমর্থন দলটির ভবিষ্যত রাজনৈতিক দিকনির্দেশনার জন্য এক নতুন মাত্রা যোগ করছে। বিশেষ করে, জোটের পক্ষে ধারাবাহিক সমর্থন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা জোরালোভাবে বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।






