গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের দৈনিক গড় পরিমাণ কিছুটা কমলেও বাজারের মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই কার্যদিবসে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও অন্য দুই দিন দরপতন হয়। এরপরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়াতে থাকায় সপ্তাহের শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭ কোটি টাকা বা ০.১৫ শতাংশ।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২৪১টি কোম্পানি দাম বাড়ানোর তালিকায় উঠে এসেছে, যেখানে দাম কমেছে ৪৪টি ও অপরিবর্তিত ছিল ১০১টি। অর্থাৎ, লেনদেনকারীদের প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারদের মধ্যে প্রায় ৬২.৪৪ শতাংশ সংস্থার দামের বৃদ্ধি হয়েছে।
বাজারের এই ইতিবাচক পরিবর্তনের ফলে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের সময় ডিএসইর বাজারমূলধন দাঁড়িয়েছে মোট ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। এই হিসেবে সপ্তাহের মধ্যে বাজারমূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০৭ কোটি টাকা বা ০.১৫ শতাংশ।
অপরদিকে, প্রধান শেয়ারবাজার সূচক ডিএসইএক্সও হয়েছে একদম উপরে, যা সামগ্রিকভাবে ৫২.১৬ পয়েন্ট বা ১.০৮ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়াও, ইসলামী ভিত্তিক ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ৭.৮৬ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ। অন্যদিকে, বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক সপ্তাহজুড়ে ২২.৬৯ পয়েন্ট বা ১.২২ শতাংশ বেড়েছে।
তবে, দৈনিক লেনদেনের গতি কিছুটা কমে গেছে। গত সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৩৫৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল গড়ে ৩৮৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এভাবে, দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে প্রায় ২৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা বা ৭.৪১ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারে, যেখানে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪.৮৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সায়হান কটনের শেয়ার, প্রতি দিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এরপরই আছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, যেখানে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয় ১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এছাড়া, শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, লাভেলো আইসক্রিম, রহিমা ফুড, মুন্নু ফেব্রিক্স, ফাইন ফুড এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।






