বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় একটি সংবাদ সম্মেলনে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। এই সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম জানান, যদিও আসিফ মাহমুদ সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেবেন না, তবে তিনি দলের মনোনীত প্রার্থীদের জয়ী করতে কঠোর পরিশ্রম করবেন। তার এই দায়িত্ব দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মূলত, নির্বাচনী মাঠের প্রচার ও কৌশল নির্ধারণে তিনি সরকারের দলের সাথে সমন্বয় করে বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন বলে জানা গেছে।
আসিফ মাহমুদ এর এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ চলতি কয়েকদিন আগে নানা গুঞ্জন ছিল যে তিনি ঢাকা-১০ আসনে বা অন্য কোনো কেন্দ্রে নির্বাচন করার পরিকল্পনা রাখছেন। এমনকি, তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহের খবর ছড়িয়ে ছিল। তবে আজ তিনি সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানালেন, একজন ব্যক্তির জন্য সংসদ সদস্য হওয়ার চেয়ে দলকে সংগঠিত করা এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলাই এখন তার অগ্রাধিকার।
অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী আসিফ মাহমুদ গত ৫ আগস্ট পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ করেন। এরপর ১০ ডিসেম্বর তিনি উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তার পদও কার্যকর হয়। সম্প্রতি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপিতে যোগ দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসেন। নির্বাচনে না দাঁড়িয়ে নির্বাচনের দায়িত্ব নেওয়া ও দল গঠনের মাধ্যমে তিনি জুলাইয়ে আসন্ন নির্বাচনকে সফল করতে নানা কৌশল গ্রহণ করছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। তিনি এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে তরুণ নেতৃত্বের প্রতিনিধিত্ব mạnhভাবে প্রতিষ্ঠা করা।






