ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে রাজবাড়ী অংশের দৌলতদিয়া ঘাটে আরও দুটি ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ চলছে। নতুন ফেরিঘাট দুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে দৌলতদিয়া অংশে ফেরিঘাটের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬টিতে এবং বাড়তি যানবাহনের চাপ সামলানো আরও সহজ হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোকবল ও সরঞ্জামের অভাবে ঈদের আগে ফেরি দুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ নৌরুট দিয়ে চলাচলে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়ায় নতুন দুটি ঘাট চালু করতে দুই ও ছয় নম্বর ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব দুটি পন্টুন আনা হয়েছে। সেখানে শ্রমিকেরা বালু ও ইটের টুকরাভর্তি বস্তা ফেলে ঘাটের সংযোগ সড়ক চালুর কাজ করছেন। কয়েকজন শ্রমিক জানান, পন্টুন ও ঘাট চালু করতে লোকবল যথেষ্ট নয়। আরও লোক দরকার। পন্টুন ধরে রাখতে আরও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম প্রয়োজন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ এবং যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৯টি ফেরি ও ৬টি ঘাট চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে এই নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১৭টি ফেরি চালু রয়েছে। এছাড়া নতুন করে আরও দুটি ঘাট বাড়াতে বিআইডব্লিউটিএ’র দুটি পন্টুন আনা হলেও তদারকি করতে প্রয়োজনীয় লোকবল দরকার। পন্টুন ধরে রাখতে তারসহ সিলবার না থাকায় এখন পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ঈদের আগে যথাসময়ে ঘাট দুটি চালু করা সম্ভব না হলে যাত্রী এবং যানবাহন পারাপার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম জানান, অতিরিক্ত নতুন দুটি ঘাট চালু করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লোকবল নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে ঘাট দুটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু নাসার উদ্দিন জানান, ‘সম্প্রতি দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শনে আসেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ। এর কিছু দিন পর পরিদর্শনে আসেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী আরও দুটি ঘাট বাড়ানোর ব্যাপারে প্রস্তাব করলে তারা আশ্বাস দেন। সে আলোকে দুটি পন্টুন আনা হয়েছে। ছয়টি ঘাট চালু থাকলে যানবাহন চলাচল সহজ হবে।’