- ১০ বছর পর বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল বেতিস
- ন্যু ক্যাম্পে বেতিসের সর্বশেষ জয় ছিল ১৯৯৮ সালের মে মাসে
এ ম্যাচ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ থাকার কথা ছিল না। ন্যু ক্যাম্পে খেলতে আসছে রিয়াল বেতিস। লা লিগায় ১৫তম অবস্থানের দল, তার ওপর বার্সেলোনার ঘরে এসে কখনোই ভালো খেলে না তারা। বরং আগ্রহ ছিল লিওনেল মেসিকে নিয়ে। চোট কাটিয়ে অনেক দিন পর ফিরেছেন মেসি। প্রিয় প্রতিপক্ষকে সামনে পেয়ে মেসি কী করেন, আগ্রহ ছিলই। মেসি নেমেছেন, খেলেছেন পুরো ৯০ মিনিট, দুটি গোলও পেয়েছেন। কিন্তু এতেও বার্সেলোনার সর্বনাশ এড়াতে পারেননি। বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে রিয়াল বেতিস।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে একটু আশা জাগিয়েছিলেন মেসি। আর্তুরো ভিদাল নিজে শট না নিয়ে মেসিকে দিয়ে গোল করাতে গিয়ে প্রথমে অফসাইডে বাতিল হয়েছিল সে গোল। পরে ভিএআর নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনার ম্যাচে ফেরার আশা তখনো আছে। কিন্তু শেষ দুই মিনিটে আর কোনো অবিশ্বাস্য কিছু ঘটেনি। ফলে এল ক্লাসিকোতে রিয়ালকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পরের হোম ম্যাচেই লিগে হেরে বসল বার্সেলোনা।
এর পেছনে ভাগ্যকে দায় দিতে পারে বার্সেলোনা। ম্যাচের স্কোর ৩-২ অবস্থায় ইভান রাকিটিচ লাল কার্ড না দেখলে হয়তো ম্যাচে ফিরে আসতে পারত বার্সেলোনা। কিংবা ২-১ অবস্থাতেও মার্ক টের স্টেগেন হাস্যকরভাবে গোল না খেলেও এমন অবস্থায় হয়তো পড়তে হতো না। কিন্তু সত্য হলো, যোগ্য দল হিসেবেই জয় পেয়ে বেতিস। আরনেস্তো ভালভার্দেকে ট্যাকটিকসে বোকা বানিয়েছেন এনরিকে সেতিয়েন।
বার্সেলোনার ৪-৩-৩ ফরমেশনের বিপরীতে ৩-৫-২ ফরমেশন নামিয়ে মিডফিল্ডে সব সময় দুজন বাড়তি খেলোয়াড় রেখেছেন সেতিয়েন। ফলে বার্সার রক্ষণকে সব সময় ৫ থেকে ৬ জন বেতিস খেলোয়াড় ব্যস্ত রেখেছেন। সে চাপেই প্রথমার্ধে অন্তত ৪ গোল খেতে পারত বার্সা। একবার হোয়াকিন জায়গা মতো বল রাখতে পারেননি। অন্যবার বার্সারই ঘরের ছেলে তেয়োর শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন স্টেগেন। কিন্তু বাকি দুবার কিছুই করতে পারেননি স্টেগেন। ১৯ মিনিটে কারভালহোর এক ডিফেন্সচেরা পাসে বার্সা রক্ষণ খালি হয়ে যায়। বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ এক শটে ক্যাম্প ন্যুকে স্তব্ধ করে দেন জুনিয়র ফিরপো। ৩৩ মিনিটে ফিরপোরই আরেকটি ক্রস থেকে তেয়োর পাস খুঁজে পায় হোয়াকিনকে। বার্সা রক্ষণ ও মিডফিল্ডের মাঝে বিশাল ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা হোয়াকিন ঠান্ডা মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৬৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু ৩ মিনিট পরে লো চেলসোর এক শট হাস্যকরভাবে গ্লাভসের মধ্য দিয়ে যেতে দেন স্টেগেন। ৭৫ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে আনেন ভিদাল। ম্যাচ জমে ওঠার অপেক্ষা কেবল কিন্তু ৮০ মিনিটে আবারও কপাল পুড়ল বার্সার। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রাকিটিচ। ৮২ মিনিটে সার্জিও কানালেস ৪-২ করে দেওয়ার পর আশা হারিয়ে ফেলে ন্যু ক্যাম্প। ৯২ মিনিটে মেসির গোলে আশা জেগেছিল বটে কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।