টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। দিনের পর দিন দরপতন হচ্ছে। পতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না। ফলে প্রতিদিন পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীদের হতাশা বাড়ছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দরপতন হওয়ার মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকল শেয়ারবাজার। গত বছরের অক্টোবর থেকেই পতনের মধ্যে রয়েছে শেয়ারবাজার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পতনের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। দরপতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সার্কিট ব্রেকারের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। একদিনে কোনো সিকিউরিটির দাম ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না বলে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে। এতে পতনের মাত্রা কিছুটা কমলেও দরপতন ঠেকানো যাচ্ছে না। উলটো প্রতিদিন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ক্রেতা সংকট দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেনদেনেও নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৬৪১ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে টানা চারদিনের পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমল ১৩০ পয়েন্ট। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক বৃহস্পতিবার ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩০টি। আর ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৯০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।