আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইন্ডিপেনদিয়েন্তে ও চিলির ইউনিভার্সিদাদ দে চিলি দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ। কিন্তু এই ম্যাচের শেষ সময়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। খেলার চলাকালীন সময়ে মাঠের ভেতর ও বাইরেও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, পরিস্থিতি দ্রুত অন্ধকারে রূপ নেয়। দর্শকদের মধ্যে পাথর, বোতল, লাঠি এবং খেলার আসন ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে, এমনকি আতঙ্ক সৃষ্টি হয় যখন একটি স্টান গ্রেনেডও ছোঁড়া হয়।
ইন্ডিপেনদিয়েন্তে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অরুণ ঘটনা নিশ্চিতভাবে কমপক্ষে ১০ জনকে আহত করেছে। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, স্টেডিয়ামের ভেতর ও বাইরে সংঘর্ষের জন্য এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের মতো ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এএফপির একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্বাগতিক দলের সমর্থকদের কিছু অংশ অতিথি সমর্থকদের উপর হামলা চালায় এবং তাদের কাপড় খুলে ফেলে।
আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচটি তখন ১-১ গোলে সমতায় অবস্থায় চলছিল, কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ম্যাচটি ৪৮ মিনিটে স্থগিত করা হয়। পরে এই ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয়লাভ করে চিলির ইউনিভার্সিদাদ দে চিলি দল, যারা এই ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী রাউন্ডে প্রবেশ করে। পরিস্থিতির কারণে ম্যাচের অস্থিতিশীলতা এবং সহিংসতা বিশ্বব্যাপী আলোচনা সৃষ্টি করেছে, যাতে ফুটবল খেলার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবা প্রয়োজন বোধ করা হচ্ছে।