মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের চন্দনপুর সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার বা মাটি ভরাটের কাজ না হওয়ায়, সাধারণ বর্ষায় বছরের বারো মাসই জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এর ফলে কোমলমতি শিশু-কিশোররা খেলাধূলা ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনে চরম অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি একেবারেই একটি জলাবদ্ধ পুকুরের মত অবস্থা। এই স্কুলটি ১৯২২ সালে স্থাপন হয়, এবং এর জমির পরিমাণ প্রথমে ৬১ শতাংশ ছিল। তবে বর্তমানে স্কুলের জমির মধ্যে কিছু অংশ কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশের ৩৬ শতাংশ, আর বাকি ২৫ শতাংশ অন্যত্র বিভক্ত। স্কুলের মূল ভবন ও মাঠের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে জমির বিষয়ে কথা বললে তিনি দুলাদুলাভাবে বলেন, তিনি জমির পুরো পরিমাণের তথ্য জানেন না। সহকারী শিক্ষকের মতে, স্কুলসংলগ্ন পশ্চিম দিকে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ৩৬ শতাংশ জমি রয়েছে, তবে মাঠের এলাকার চারপাশে বাড়িঘর ও ক্লিনিকের কারণে নিচু হয়ে থাকার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জল জমে যায়।
এতে শিক্ষার্থীরা নানা দুর্ভোগে পড়ে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেরুন জানায়, সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে পানি জমে যায়, যার ফলে ঘাস ও আগাছা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। চারপাশে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে মশা জন্মে ও বৃদ্ধি পায়, যা ডেঙ্গুসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও দ্রুত মাঠের মাটি ভরাট ও সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ব্যাংকার আব্দুস সালাম বলেন, এই সমস্যা দীর্ঘদিনের, এবং মাঠ পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান। প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার বলেন, এত দুর্ভোগের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, কতবার সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা ছবিও তুলে দিচ্ছেন, কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি। মাঠের জলাবদ্ধতা নিয়ে তারা_chম হাতে এনে সমস্যার সমাধান চান।
অপরদিকে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি এখনো অবগত নন। তবে, যদি স্কুলের পক্ষ থেকে আবেদন পাওয়া যায়, তাহলে সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে দ্রুত মাঠ সংস্কার এবং জলাবদ্ধতার বিষয় সমাধান করা হবে।