পাবনা-১ (বেড়া অংশ-সাঁথিয়া) সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বেড়ায় হরতাল ও অবরোধ চলছে। রোববার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হরতাল চলবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও, সড়ক ও নৌপথে অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
হরতাল সমর্থকরা বেড়া সিএন্ডবি মোড়ে রাস্তার গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন মোড়ে হরতালের পক্ষে মিছিল বের করেছে আন্দোলনকারীরা। রোববার সকালে কোনো বাস বা অন্য যানবাহন সড়কে চলতে দেখা যায়নি। বেড়া নগরবাড়ি ও কাজিরহাট নদী বন্দর বন্ধ করে দিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা, যার কারণে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।
এ ব্যাপারে শোনো, শনিবার এক সভায় এই হরতাল ও অবরোধের ঘোষণা দেয় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বেড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকছেদ আলী, সাবেক সহসভাপতি সাজেদুল ইসলাম দিপু, বণিক সমিতির প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, রিকশা-ভ্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন খাজা, চতুহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মো্ল্লাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় আজ (রোববার) গোটা বেড়া উপজেলায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল ও সড়ক, নৌপথে অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানার ঘোষণা দেয়। এতে সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার অংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-১ আসন সংশোধন করে, শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে নিয়ে নতুন নির্বাচন এলাকা তৈরি করা হয়। এর পাশাপাশি, বেড়া উপজেলাকে পুরোপুরি সংযুক্ত করা হয় পাবনা-২ আসনে।
এর পর থেকেই বেড়া উপজেলাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এর আগে, একই দাবিতে ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে দুই ঘণ্টার জন্য অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে কেন্দ্র করে এই আসনটি আলাদা করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অন্যায়। তারা অভিযোগ করেন, বেড়া উপজেলা একেবারে অন্যভাবে তাৎক্ষণিকভাবে ভাগ হয়ে গেছে এবং বেড়া উপজেলার ব্যাবসা-বাণিজ্য সবকিছু সাঁথিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, নির্দিষ্টভাবে বেড়া উপজেলাকে অন্য একটা আসন হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা ধারাবাহিক ভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।