বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল দুই ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে একসঙ্গে একই লীগে খেলার দৃশ্য দেখা। এর মাধ্যমে তাদের দ্বৈরথের নতুন রূপ দেখা যেত। তবে সামাজিক ও ক্রীড়া পর্যায়ে ঐ স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপিকে সৌদি আরবের এক শীর্ষ ফুটবল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য সৌদি আরবে খেলতে চেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এই অনুরোধের অনুমতি দেননি।
অফিসারটি বোঝান, মেসি চাইছিলেন ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে মাঠে থেকে ফিটনেস বজায় রাখতে। সৌদি প্রো লীগ নিজেই চার মাসের বিরতিতে থাকবে, তখন তিনি খেলতে চান। এর জন্য তিনি সৌদি আরবের ক্লাবগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন, বিশেষ করে তাদের এজেন্টের মাধ্যমে। মৌসুম শেষ হওয়ার পর ফের শুরু হয় দীর্ঘ বিরতি, তখন মেসি সৌদি আরবে খেলার পরিকল্পনা করেছিলেন।
আবদুল্লাহ হাম্মাদ, মাহদ স্পোর্টস একাডেমির প্রধান নির্বাহী, এক পডকাস্টে বলেন, ‘গত ক্লাব বিশ্বকাপের সময় মেসির ক্লাব তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এবং তাকে সৌদি আরবে খেলার প্রস্তাব দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চেয়েছিলেন, সেই জন্য তিনি চার মাসের বিরতিতে থাকতেন।’ সূত্রটি ডেভিড বেকহামের উদাহরণও টেনে আনে, যেখানে চেয়েছিলেন, ২০১০ বিশ্বকাপের আগে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সি ছাড়াই খেলেছিলেন।
তিনি জানান, এই প্রস্তাবটির বিষয়ে তিনি দেশের ক্রীড়ামন্ত্রীকে জানান। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান হয়। এর কারণ হিসেবে হাম্মাদ স্পষ্ট করে বলেন, ‘সৌদি লিগ অন্য কোনও প্রস্তুতি বা বড় টুর্নামেন্টের জন্য ব্যবহৃত হবে না।’ পডকাস্টে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তাহলে কি সৌদি আরবই মেসির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে? তিনি উত্তরে বলেন, ‘অবশ্যই তাই।’
এর আগে ২০২৩ সালে খবর ছড়িয়ে পড়ে, মেসি প্যারিসের ক্লাব ছেড়ে সৌদি প্রো লীগে যোগ দেবেন। সৌদি আরবে বেশ কিছু ক্লাব তাকে প্রস্তাব দিয়েও ছিল। তবে সব গুঞ্জনকে অবান্তর করে, তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে আছেন।
	    	





