বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতা, উৎপাদন দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ আরও শক্তিশালী করে তুলতে একত্রিতভাবে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বৃহস্পতিবার এনপিওর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিজিএমইএর পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম এবং এনপিওর সভাপতি মো. নুরুল আলম। প্রতিষ্ঠিত চুক্তি অনুযায়ী, পোশাক শিল্পকে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এর জন্য প্রস্তুত করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার এবং পরামর্শমূলক সেবা যৌথভাবে চালানো হবে। এর পাশাপাশি, উৎপাদনশীলতা ও অপারেশনাল দক্ষতা বাড়াতে ৫এস, কাইজেন এবং লিয়েন ম্যানুফ্যাকচারিং এর মতো আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার গুরুত্ব দেওয়া হবে। সমঝোতা স্মারকের অন্তর্গত, প্রতিটি বছর তিনটি তৈরি পোশাক কারখানাকে ‘মডেল এন্টারপ্রাইজ’ হিসেবে বাছাই করে তাদের জন্য এনপিওর কারিগরি সহায়তায় একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি, উভয় সংস্থা এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এপিও) সহায়তায় গবেষণা ও সক্ষমতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগে একসাথে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ এর একজন প্রতিনিধি বলেছিলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্য, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং সাপ্লাই চেইনের নতুন বাস্তবতা মোকাবেলা করতে এখনই ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ গ্রহণের সময়। শুধুমাত্র কম খরচের উপর আশ্রয় না নিয়ে, গুণগত মান, দক্ষতা, গতি ও উদ্ভাবনের সমন্বয়ে আধুনিক পোশাক শিল্প গড়ে তুলতে হবে। বিজিএমইএর পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম বলেন, বাংলাদেশি পোশাক শিল্পকে স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর পথে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি, আইওটি ও ইনোভেশন নিয়ে কাজ করতে হবে। এই অংশীদারিত্বটি বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পকে টেকসই, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।






