দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের পরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সূচনা করেছে পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান ৬ রানের কঠিন জয় লাভ করে। এই জয়ে মূল ভূমিকা রেখেছেন সালমান আগার, যিনি ৮৭ বল খেলে ১০৫ রান করে দলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার এই অসাধারণ ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১৪ ধাপ এগিয়ে এসে এখন ১৬ নম্বর অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়েছেন। এছাড়াও, পাকিস্তানের অন্য ব্যাটসম্যান সাইম আইয়ুবও ১৮ ধাপ এগিয়ে ১৮ ধাপে এসেছেন, যদিও তার পারফরম্যান্স ফলপ্রসূ হয়নি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজে তিনি দুটি ফিফটি করে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছেন। যেখানে একমাত্র তিনিও নয়, এমনকি যেখানে ফিফটি করেননি কিন্তু ৩৯ রান করেন, সেই ম্যাচেও সাইমের পারফরম্যান্স প্রশংসনীয়। তার রেটিং পয়েন্ট এখন ৬৩৯, যা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। বাবর আজমের অবস্থানে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন, তবে এখনই তিনি ৭ নম্বরে অবস্থান করছেন। তার র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ নামা হলেও ছয় বছর পর তিনি শীর্ষ পাঁচের বাইরে চলে গিয়েছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানের স্পিনার আবরার আহমেদ যেহেতু অসুস্থ থাকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে পারেননি, এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হয়। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবরার ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ১৭ ধাপ উত্থিত হয়ে এখন ২০ নম্বর স্থানে পৌঁছেছেন, যা তার ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং র্যাঙ্কিং। পাশাপাশি, পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ ৪ উইকেট নিচ্ছেন, যার জন্য তিনি তিন ধাপ এগিয়ে এখন ২৮ নম্বরে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক, যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর পাকিস্তানের বিপক্ষের তিন ওয়ানডেতে মোট ৫০ রান করেছেন, চার ধাপ এগিয়ে এখন ১৫ নম্বরে রয়েছেন। শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এই সিরিজে বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। রাওয়ালপিন্ডিতে ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনি একদিকে ব্যাট হাতে ৫৯ রানের ঝটিকা ইনিংস খেলেছেন। তার এই পারফরম্যান্সের জন্য তার ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে ১৪ ধাপ উন্নতি হয়েছে এবং এখন তিনি ১১৬ নম্বরে। বোলিংয়ে তিনি এক ধাপ এগিয়ে নবম স্থানে উঠে এসেছেন, এবং অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে এখন শীর্ষ দশের মধ্যেই রয়েছেন, পূর্বের মতোই।






