লিওনেল মেসি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন যে তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না, এই প্রশ্ন đang তৈরি হয়েছে বেশ আলোচনা। আর্জেন্টিনার ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হিসেবে এই নিয়ে প্রচুর আলোচনা চলছে, তবে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাননি মেসি। গত তিন বছরে বোঝা গেছে, তিনি আগামী বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে দৃঢ়ভাবে ইচ্ছুক। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমি সেখানে থাকতে চাই।
বয়স ৩৮ বছর হওয়ায় তাঁর শারীরিক প্রস্ততিতার ব্যাপারে কিছুটা সতর্ক হয়ে ওঠেন মেসি। তাঁর মনোভাব হলো, তিনি কোনওভাবেই দলের বোঝা হয়ে উঠতে চান না। এই কারণেই স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি স্পষ্ট করে বলেন, আমি বোঝা হতে চাই না। আমি চাই, দলকে সাহায্য করতে পারি, অবদান রাখতে পারি—এর জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ শারীরিকভাবে প্রস্তুত করতে চাই। তিনি আরও যোগ করেন, ইউরোপের তুলনায় আমাদের মৌসম (এমএলএস) আলাদা; সেখানে আমাদের প্রাক-মৌসুম ও কিছু ম্যাচের সুযোগ থাকবে, এর মাধ্যমে তিনি শারীরিক দক্ষতা ধরে রাখতে পারবেন।
আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বিশ্বকাপ শুরু হবে। তবে, সেখানে খেলা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি মেসি। কারণ, তিনি শারীরিক রূপে পুরোপুরি প্রস্তুত কিনা তা এখনও নিশ্চিত নন। এটাই মূল কারণ, ১১ জুন শুরু হতে থাকা এই বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে, তিনি বলেছেন, যদি তিনি খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করে তুলতে পারেন, তবে অবশ্যই যে তার ইচ্ছা আছে তিনি বিশ্বকাপে অংশ নিতে। তিনি বলেন, আমি জানি এটা বিশ্বকাপ—একটি বিশেষ প্রতিযোগিতা। আমি উচ্ছ্বসিত থাকলেও, শরীরিকভাবে সঠিকভাবে প্রস্তুত না হলে মূল লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।
এখন পর্যন্ত, ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনার হয়ে চলতি বছর ৫০ ম্যাচে ৪৪ গোল করেছেন মেসি, এর পাশাপাশি ২১ গোলের সাক্ষর রেখেছেন। সবথেকে বড় কথা, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা ট্রফি জিতেছে। তবে, এই সব কিছুর মধ্যেও, তিনি কতটা গুরুত্ব দেন এই আসরটির উপর সেটা তাঁর কথাতেই বোঝা যায়—‘অবশ্যই জানি, এটা বিশ্বকাপ—একটি বিশেষ আসর এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। আমি উচ্ছ্বাসিত, কিন্তু ধীরে ধীরে এগোচ্ছি।’
আর্জেন্টিনা দলের অনুশীলন বার্ষিকী স্পেনে চলছে, যেখানে মেসি যোগ দিয়েছেন। আগামী ১৪ নভেম্বর লুয়ান্ডায় বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় অ্যাঙ্গোয়েলার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচটি হবে এই বছরের শেষ ম্যাচ। এরপর মাঠে নামবে আগামী মার্চে, যেখানে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে স্পেনের ফাইনালিসিমা।






