আগামী বিপিএল মৌসুমে নতুন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে নোয়াখালী যুক্ত হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’। প্রথমবারের মতো বিপিএলে অংশ নিচ্ছিল এই দলটির জন্য এলাকাবাসীর মধ্যে এক অদম্য উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যেও বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে এসেছে—নোয়াখালী এক্সপ্রেসের মালিক কারা, ম্যানেজমেন্টে কে থাকছেন, নিলামের আগে কাদের দলে স্থান পাচ্ছেন—এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছেই।
একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে—নোয়াখালী এক্সপ্রেসের নতুন কোচ হচ্ছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ক্রিকেটের ঘরোয়া পর্যায়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ও সফল এই কোচ আগে ঢাকার বিপিএল দলের কোচ ছিলেন, যেখানে তিনি দলকে বেশ কয়েকবার ফাইনালে তুলেছেন এবং এমনকি একবার চ্যাম্পিয়নও করেছেন।
সাম্প্রতিক প্রিমিয়ার লিগে তিনি গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কোচ হিসেবে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন এবং সুপার লিগে দলটি পঞ্চম স্থান পেয়েছিল, যা প্রত্যাশার থেকে কিছুটা নিচে। গত আসরে ঢাকার কোচ ছিলেন তিনি, কিন্তু দুর্বল দল হিসেবে সাফল্য অনেকটাই সীমিত ছিল। তাই এবার কোন দলের দায়িত্ব পাবেন—এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক জল্পনা চলছিল। এ সময়ই খবর বেরোতে থাকে যে তিনি নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচ হচ্ছেন। তবে শুরুতে ούτε সুজন nor নোয়াখালীর কর্তৃপক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানাননি।
বর্তমানে সুজন ব্যক্তিগত কারণে বিদেশে থাকলেও ২৮ নভেম্বর দেশে ফিরবেন। আর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নিশ্চিত করেন—তিনি এবার বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে তিনি রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন, যেখানে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সময় দেন। জাতীয় দলের দায়িত্বে না থাকায় তার হাতে বিপিএলে কোচিং করার জন্য পর্যাপ্ত সময় রয়েছে।
সুজন বলেন, ‘আমি এখন কোনও বড় ব্যস্ততায় না থাকায় এই প্রস্তাব গ্রহণে কোনও বাধা ছিল না। আমি ফ্রি থাকার কারণে নোয়াখালীর কোচিংয়ের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছি।’ এছাড়া তিনি আরও যোগ করেন, ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সব আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। আমি নিশ্চিত, এবারের বিপিএলে আমি এই দলের কোচ হিসেবে কাজ করব।’






