জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নীতিমালা নিয়ে অপ্রকাশিত রয়েছে অস্পষ্টতা, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আসিফ আকবরের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে জানতে চেয়েছেন, ‘মাঠের ব্যবহার কি শুধুই ফুটবল খেলার জন্য, নাকি অন্যান্য ক্রীড়া আয়োজনের জন্যও অনুমতি দেওয়া হবে?’ গত শনিবার বিকেলে নিজ জেলা কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আয়োজিত বয়সভিত্তিক ক্রিকেটার, কোচ ও ক্লাব সদস্যদের সাথে বিশেষ এক আড্ডায় আসিফ আকবর এ প্রশ্নটি তুলেছেন। এই অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজন করে।
বিসিবি পরিচালক হিসেবে প্রথমবারের মতো মাঠ পরিদর্শনে এসে উচ্ছ্বসিত আফসান আকবর মাঠের পরিস্থিতি দেখেছেন। এ সময় তিনি ক্রিকেটারদের সাথে গম্ভীর আলাপ এবং ছবি তোলায় মেতেছেন।
আড্ডায় তিনি বলেন, ‘আমাদের মাঠে সব খেলার জন্য সমঝোতা করে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু জায়গায় স্বেচ্ছাচারিতা দেখা যাচ্ছে; ক্লাব ফুটবলের নামে বা অন্য কারণে মাঠের অধিকার একচেটিয়া হয়ে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো, কুমিল্লার প্রেক্ষাপটে মাঠ কি শুধুই ফুটবল খেলার জন্য, নাকি সব ধরনের খেলাধুলার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে? এ বিষয়ে সঠিক উত্তর জানতে চাই।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আগামী ২০ বছর দেশের উন্নয়নের জন্য যারা কাজ করবে, তাদের জন্য খেলাধুলার সুযোগ এবং সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বেশ কিছু জেলায় মাঠ থাকলেও সেখানে নেই যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা বা লীগ আয়োজন। অনেক অঞ্চলেই নানা ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রা খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একাদেমি কার্যক্রমে জোর দেওয়ার প্রয়োজন। আমি ১১টি জেলা ঘুরে দেখেছি, যেখানে খেলাধুলার জন্য উপযুক্ত মাঠের অভাব রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য বদরুল হুদা জেনু, কাজী গোলাম কিবরিয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ, আফিস তরুণাভ, মাহির তাজওয়ার ওহী, সাবেক জাতীয় ক্রিকেট কোচ এমদাদুল হক ইমদু, প্রাক্তন ক্রিকেটার ফখরুল আলম উল্লাস, ক্লাবের অফিসিয়াল আল আমিন ভূঁইয়া, জেলা আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি খায়রুল আলম সোহাগ এবং জেলা ক্রিকেট কোচ ও বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট সদস্য হাবীব মোবাল্লেক। একত্র হয়ে উপস্থিত সবাই খেলাধুলার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ভূমিকায় মনোযোগ দেন।






