গত সপ্তাহে কনফারেন্স শিরোপা জয় করার পর এবার ইন্টার মায়ামির শোকেসে যুক্ত হলো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ট্রফি। এই আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে নিজে গোলে না করলেও, তার সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে দলকে ৩-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন লিওনেল মেসি। প্রতিযোগিতার অন্যতম বড় এই ম্যাচটি চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শুরুতেই ধাক্কা সামলে নেয় মায়ামি। ম্যাচের ৮ মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ওকাম্পোর নিজেরই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় সবকিছুই সেঞ্চুরিতে চলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে আলাদা কৌশল ও মনোবল নিয়ে ফিরে আসে ভ্যানকুভার। ৬০ মিনিটে আলী আহমেদের গোলে তারা সমতার দেখা পায়। তবে তখনই বেলুনের দিকে সাড়া দিয়ে মেসি পরিকল্পনা জমিয়ে রাখেন। ৭১ মিনিটে তার দুর্দান্ত পাসে রদ্রিগো ডি পল জালে বল জড়িয়ে দলকে আবারও লিড এনে দেন। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে, ৯৬ মিনিটে, আলবেন্ডের অনন্য অশোভন সহায়তায় মেসি আবারও অসাধারণ করুণাময় যোগ্যতা দেখান এবং এই শিরোপা নিয়ে দলের বিজয় চূড়ান্ত করেন। এই জয়টি ইতিহাস রচনা করে, কারণ এটি প্রথমবারের মতো ইন্টার মায়ামি এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হলো। ব্যক্তিগতভাবে, এই ম্যাচে মেসি নিজের ক্যারিয়ারে ৪৮তম শিরোপা জয় দিয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেন। এই ম্যাচটি আরও বিশেষ ছিল কারণ এটি ছিল বার্সেলোনার দুই কিংবদন্তি জর্ডি আলবা ও সার্জিও বুসকেটসের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। আলবা ১১ মৌসুমে ছয়টি লা লিগা, একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেছেন এবং ইউরো ২০১২ জিতেছেন। তিনি বিদায় নিলেন ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা লেফট-ব্যাক হিসেবে। অন্যদিকে, বুসকেটস, যিনি বার্সেলোনার হয়ে ৭২২ ম্যাচ খেলেছেন এবং ৩২টি ট্রফি জিতেছেন, স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ ও ইউরো শিরোপাও পেয়েছেন। তাদের ক্যারিয়ারের এই সুন্দর সমাপ্তি ঘটে এমএলএসে শিরোপা উৎযাপে।






