ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে দীর্ঘ সময় ধরে সফলতার সঙ্গে টিকে থাকার জন্য আর্লিং হালান্ড ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির মতো মহাতারকার জীবনধারা ও পারফরম্যান্সকে তার জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে দেখেন। ব্রাজিলের একটি সাক্ষাৎকারে এই নরওয়েজিয়ান এই তারকা জানান, বিশ্বসেরা লিগে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অবিচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তারা ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম উদাহরণ তৈরি করেছেন, যা প্রত্যেক ফুটবলারই অনুসরণ করতে পারেন।
হালান্ড বিশেষ করে ৩৭ বছর বয়সী রোনালদোর ফিটনেস, শৃঙ্খলা ও জীবনযাত্রার গভীর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, রোনালদো নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া, পুষ্টি ও অভ্যাসে কতটা যত্নশীল, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। ইতোমধ্যে ৯৫০টির বেশি গোল করে এবং ২০২৭ সাল পর্যন্ত আল নাসরের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে, রোনালদো তাঁর দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স দিয়ে হালান্ডকে আরও বেশি অভিভূত করেছেন। একইসঙ্গে, ৩৮ বছর বয়সেও মেসির ইন্টার মায়ামিতে এমএলএস কাপ জেতা এবং টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেরা খেলোয়াড় ও গোল্ডেন বুট অর্জনের কাহিনীও তিনি মনযোগ সহকারে দেখেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথমবারের মতো গোল করে আলোচনায় আসেন হালান্ড। যেখানে তিনি একটি পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ ব্যবধানে জেতান। এই ঐতিহাসিক ম্যাচের প্রথম গোল ও জয়ের মুহূর্তটি হালান্ডের ক্যারিয়ার অমূল্য ওই স্মৃতিরূপে রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫৪ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৫৫।
অন্যদিকে, হালান্ড দেশের জার্সিতেও দুর্দান্ত ফর্ম 보여ছেন। তার পারফরম্যান্সের উপর ভর করে ২৮ বছর পর নরওয়ে দীর্ঘ সময় পরে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। বাছাইপর্বে প্রতিটি ম্যাচে গড়ে দুটো গোল করেছেন তিনি। আগামী বছর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে থাকা এই তারকা জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার আনন্দে তিনি নিজের অভ্যাসের বিপরীতে গিয়ে বিয়ার পান করে উদযাপন করেছিলেন, যা তার জন্য এক গর্বের মুহূর্ত ছিল।






