দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণ ও জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নভেম্বর মাসে মোট ১১ কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করেছে। এসব কার্গোর মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ কোটি ৫২ লাখ এমএমবিটিইউ, যার বিপরীতে সরকারের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৬১ মিলিয়ন ডলার।
পেট্রোবাংলার পরিচালক একেএম মিজানুর রহমান বাসসকে জানিয়েছেন, দেশের বাড়তে থাকা জ্বালানি চাহিদা মেটাতে তারা দীর্ঘমেয়াদি, স্বল্পমেয়াদি চুক্তি ও স্পট মার্কেট থেকে নিয়মিতভাবে এলএনজি আমদানির ব্যবস্থা করছে।
তিনি আরও বলেছেন, অক্টোবর মাসে তারা মোট প্রায় ২ কোটি ৮৮ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয় করেছেন, যার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি চুক্তি এবং স্পট মার্কেটের আওতায় দেশটি মোট ১০ কার্গো থেকে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সংগ্রহ করেছে। গড়ে এক কার্গোতে প্রায় ৩২ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি ছিল।
তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতারএনার্জি চার কার্গো এলএনজি সরবরাহ করে ১১৫.৯৭ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। একই চুক্তির অধীন ওমানের ওকিউ ট্রেডিং (ওকিউটি) দুই কার্গো জন্য ৫৫.২৮ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বল্পমেয়াদি চুক্তির আওতায় ওমানভিত্তিক ওকিউটির দوء কার্গো জন্য ৭৫.২১ মিলিয়ন ডলার এবং স্পট মার্কেট থেকে তিন কার্গো এলএনজি আমদানির জন্য সরকার ব্যয় করেছে ১১৪.৫৩ মিলিয়ন ডলার।
নভেম্বরে স্পট মার্কেটের আওতায় পেট্রোচায়না ইন্টারন্যাশনাল এক কার্গো জন্য ৩৮.০৮ মিলিয়ন ডলার এবং টোটালএনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার দুই কার্গো জন্য ৭৬.৪৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির তথ্য অনুযায়ী, দেশের গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানির জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব ইতিমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। এর আগে ক্রয় কমিটির এক বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকারের আর্থিক চাপ কমানোর পাশাপাশি এলএনজির সরবরাহ বৃদ্ধিতেও গুরুত্ব দিচ্ছেন সদস্যরা। তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তুলনামূলকভাবে যুক্তিসঙ্গত মূল্যে এলএনজি সংগ্রহ করা হচ্ছে।






