সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ বা প্রায় ১০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা, যা এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক週間েই মূল্যমান কমে গেছে ব্যাপকভাবে।
এ সপ্তাহে ডিএসইর সব কিছু সূচকই নিম্নমুখী হয়েছে। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হ্রাস পেয়েছে ১৩২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়াও ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৮ শতাংশ, আর ডিএসইএস সূচক পতন হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। সূচকের এই পতনের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে। পুরো সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৪৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকার, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক সপ্তাহে মোট লেনদেন কমে গেছে প্রায় ৫৩৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
প্রতিদিন গড়ে লেনদেনের পরিমাণও কমে এসেছে। চলতি সপ্তাহে গড়ে ঢাকার স্টক এক্সচেঞ্জে দৈনিক লেনদেন হয়েছে ৩৮৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৮৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি কোম্পানির শেয়ার দামের বৃদ্ধি হলেও ৩৩৫টির দাম কমেছে, এবং ২২টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অন্যদিকে, দেশের শেয়ারবাজারের আরেক বিশাল কেন্দ্র চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও উল্লেখযোগ্য মূল্যমান কমেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ১ দশমিক ৭২ শতাংশ কমে যথাক্রমে ১৩,৬২৪ পয়েন্ট ও ৮,৪০০ পয়েন্টের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এছাড়াও সিএসই-৫০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং সিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
চলতি সপ্তাহে সিএসইর মোট লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এভাবে এক সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। সপ্তাহ জুড়ে মোট ২৫০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭১টির দাম বেড়েছে, ১৫৯টির দাম কমেছে এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।






