সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান আইএলটি-টোয়েন্টি লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান তারকারূপে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এই দুই বিস্ময়বাবু দেশের ক্রিকেটের জন্য গর্বের পরিচয়ে ফিরছেন আজ, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর), দেশে ফেরার পথে। বুধবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মোস্তাফিজের দল দুবাই ক্যাপিটালস ও তাসকিনের শারজা ওয়ারিয়র্স নিজেদের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি শেষ করে তারা ছুটে যান দেশের পথে। সেই ম্যাচের পর মোস্তাফিজের সঙ্গে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে তাসকিন জানিয়েছেন, এখন তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় বিপিএল, যেখানে তারা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেবার জন্য দারুণ উচ্ছ্বসিত।
আইএলটি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের ‘ফিজ’ জাদু আবারো বিশ্বক্রিকেটকে mesmerized করেছে। আটটি ম্যাচে তিনি করেছেন ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, যার মাধ্যমে তিনি এই আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের একজন। বিশেষ করে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে এক ওভারে ৩ উইকেটের মহামুল্যবান অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। তাঁর কাটার এবং স্লোয়ারের মোকাবিলা করতে ব্যাটসম্যানরা বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন। শুরুতে কিছুটা ছন্দহীন থাকলেও মোস্তাফিজ দ্রুতই নিজেকে ফিরে পেয়েছেন এবং দুবাই ক্যাপিটালসের প্লে-অফে পৌঁছানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
অপরদিকে, তাসকিন আহমেদও শারজা ওয়ারিয়র্সের বোলিং আক্রমণে ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। যদিও তার পরিসংখ্যান কিছুটা নিচে থাকলেও তিনি ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তার ক্যারিয়ারের ২০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ডেজার্ট ভাইপার্সের বিরুদ্ধে মাত্র ২০ রানে ২ উইকেট শিকার তার জন্য এক বড় মাইলফলক। পাওয়ার প্লেতে তার ধাওয়ায় প্রতিপক্ষদের শুরুতেই চাপে ফেলা জেতা সম্ভব হয়। তবে ডেথ ওভারে কিছুটা রান দেওয়ায় তার অর্থনৈতিক গড় ৮.৭৬-এ দাঁড়িয়েছে, তবুও শারজার বলিংয়ের মূল ভিত্তি হিসেবে তিনি অনেক বেশি মূল্যবান।
টুর্নামেন্টের পয়েন্ট তালিকা অনুযায়ী, মোস্তাফিজের দল দুবাই ক্যাপিটালস প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে, তবে তাসকিনের শারজা ওয়ারিয়র্সের ভাগ্য এখনো অনিশ্চিত। ৯ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট, যার ফলে তাঁরা এখন তালিকার নিচে অবস্থান করছে। শেষ চারে যেতে হলে তাদের বড় জয় এবং অন্য দলের ফলাফলের উপর নির্ভর করতে হবে। তবে, আমিরাতের এই আসর শেষ করে দুই তারকা এখন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আই ফিচারে ফিরছেন। বিপিএলের জন্য তারা এখন পুরোপুরি প্রস্তুত, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। তাসকিন ও মোস্তাফিজের এই ছন্দময় প্রত্যাবর্তন ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেটের উত্তেজনাকে আরও বৃদ্ধি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।






