উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হলো। সম্প্রতি দেখা গেছে যে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাস্টমস হাউস বা স্টেশনে আমদানির সময় দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় পণ্যের বর্ণনা ও HS কোডে বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে। পরীক্ষার সময় বা শুল্কায়নের পরবর্তী সময়ে পণ্যের নমুনা বা তথ্য পরিবর্তিত হয়ে থাকে, যা কখনও কখনও প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স, প্রাপ্যতা শীট বা সংশ্লিষ্ট ইউটিলাইজেশন ডেকল্যারে (UD) সঠিকভাবে উল্লেখ হয় না। এর ফলে শুল্কায়নের প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে যথাসময়ে কাঁচামাল বা পণ্য খালাস না হওয়ার কারণে রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী পণ্য জাহাজীকরণে বিলম্ব হচ্ছে, যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সচেতন হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে বিনষ্ট না করে এগিয়ে নিতে জরুরি ভিত্তিতে নিম্নলিখিত নির্দেশনা দেওয়া হলো: প্রথমত, বন্ড লাইসেন্সে উল্লেখিত বর্ণনা ও HS কোড অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিলের পরে যদি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আলাদা HS কোড নির্ণয় করে, তবে যদি নির্ণয়ক HS কোডের প্রথম চার ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে লিখিত HS কোডের প্রথম চার ডিজিটের সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে আমদানিকারক এই নির্ণয়ক HS কোডটি পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বন্ড লাইসেন্স ও ইউডিতে অন্তর্ভুক্ত করবেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউসের কমিশনারের কাছে একটি অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে, যার ভিত্তিতে পণ্যচালানের খালাস অনুমোদন দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, যদী বন্ড লাইসেন্সে উল্লেখিত বর্ণনা ও HS কোডের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়, তাহলে আমদানিকারক পরবর্তীতে ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পণ্যের বর্ণনা বা HS কোড পরিবর্তন করে বন্ড লাইসেন্স ও ইউডিতে অন্তর্ভুক্ত করবেন। তৃতীয়ত, যদি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে আলাদা HS কোড নির্ণয় করেন এবং বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটের কাছে তা যোগ করা হয়, তবে কাস্টমসের অনুমতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পণ্য চালান খালাসের ব্যবস্থা করোনা হবে এবং সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে এ তথ্য জানানো হবে। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং বিদ্যমান সব শুল্কায়ন প্রক্রিয়াসূচক পণ্যচালানগুলিতে এই বিধিগুলি প্রযোজ্য হবে।