এক মাসের স্থগিতাদেশের পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন বর্ধিত ট্যারিফ কার্যকর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বন্দরে এসে আসা সব জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গো বিল নতুন হারে আদায় করা হচ্ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থ ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়েছে, ১৫ অক্টোবর থেকে বর্ধিত এই ট্যারিফ চালু হবে। সংশ্লিষ্ট সব শিপিং এজেন্টের জন্য বলে দেয়া হয়েছে, তফসিলি ব্যাংকে নতুন হারে অর্থের সংস্থান করে জাহাজের জন্য প্রয়োজনীয় নির্ঝর মানের ছাড়পত্র (এনওসি) নিতে হবে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দরের মোট ৫২টি সেবা খাতের মধ্যে ২৩টিতে এই নতুন ট্যারিফ প্রযোজ্য। গড়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত এই ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে কন্টেনার হ্যান্ডলিং খাতে সবচেয়ে বেশি মাশুল ধার্য করা হয়েছে। প্রতি ২০ ফুটি কন্টেনারের জন্য ট্যারিফ ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগে ছিল ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা। অর্থাৎ, এই খাতে প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি দিতে হবে। আমদানি কন্টেনারে অতিরিক্ত ৫ হাজার ৭২০ টাকা এবং রপ্তানি কন্টেনারে ৩ হাজার ৪৫ টাকা বেশি ধার্য হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভাড়া, টোল, ফি ও মাশুল ডলার বিনিময় হার অনুযায়ী আদায় হবে। প্রতি ডলারের হার ধরা হয়েছে ১২২ টাকা, ফলে ডলারের মান বাড়লে ট্যারিফও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। তবে বন্দরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর আপত্তির কারণে নৌপরিবহন উপদেষ্টার নির্দেশে এক মাসের জন্য তা স্থগিত রাখা হয়।
মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর রাত থেকে নতুন হারে ট্যারিফ কার্যকর করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়েছিল। তবে ৩৯ বছর পরে এই হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে, যা মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর। তিনি আরও বলেন, ‘অপারেশনাল ব্যয়, রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকায়নের খরচ সামাল দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’