ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত বুধবার অনুষ্ঠিত zweiten টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ওপেনার তানজিদ হাসান ৪৮ বলে ৬১ রান করেন। এই ইনিংসটি রেকর্ডের নজরাকর কারণ, ১৫০ রানের লক্ষ্য তে ম্যাচে এভাবে খেললে দলের জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তবে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে অন্য ব্যাটসম্যানরা সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি। জাকের আলী ও শামীম হোসেনের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ দলের হারের ব্যবধান হয় ১৪ রানে। এ হারে অবশ্য তানজিদ কিছুটা আক্ষেপের সুরে বলছেন, এই ধরণের ম্যাচে অবশ্যই আরও ভালো করতে হতো।
তবুও এই ম্যাচেই গড়লেন নিজের নতুন রেকর্ড। গত বুধবারই বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি রান করার অনন্য কীর্তি স্থাপন করেন তানজিদ। চলতি বছর তিনি ২৩ ইনিংসে ৬২২ রান করেন, যা তার জন্য এক বিশাল উল্লম্ফন। স্ট্রাইক রেটে ১৩৫.২১ ব্যবধানে ব্যাটিং করে ফিফটি করেছেন ৬ বার, গড় তিনি ২৯.৬১। ব্যাটিং এই বছরে ছক্কা মেরেছেন ৩৪টি, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এক বছরে কোনও ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ।
এক্ষেত্রে, আগে বাংলাদেশের এক বছরে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডে দেখা যায়, ২০২১ সালে নাঈম ২৬ ইনিংসে ৫৭৫ রান করেন। তিনি স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০.৩৪ এবং তিন বার ফিফটি পান। তালিকায় তার পরের দুজন হলেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। চলতি বছর লিটন ২১ ইনিংসে ৫৬৪ রান করেছেন, স্ট্রাইক রেট ১৩২.৭০। ২০২২ সালে তিনি ১৪০.২০ স্ট্রাইকে ৫৪৪ রান করেন।
অপরদিকে, আফিফ ২০২২ সালে ৫০০ রান করেন, স্ট্রাইকের গড় ১২৩.৭৬। অন্য কোনো বড় তারকা, যেমন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম বা মাহমুদউল্লাহ এক বছরে ৫০০ বা তার বেশি রান করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ সর্বোচ্চ ২০২১ সালে ৪৯৬ রান করেন। মুশফিক ২০১৮ সালে ৩৯৭ রান ও সাকিব ২০২২ সালে ৩৪৯ রান করেন। এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, তানজিদ এখনো বাংলার তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম অন্যতম সর্বোচ্চ রানের মালিক।






