বছর শেষ হতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। এ সময় অনেক ক্রিকেট ভক্তের চোখ পড়ে বছরের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যানের উপর। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ বছর শীর্ষ উইকেট শিকারিদের তালিকা দেখলে বাংলাদেশি সমর্থকদের মধ্যে বেশ খুশির ছকিটা দেখা যায়। এই সংস্করণে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন যৌথভাবে শীর্ষে আছেন, যা তাঁর ঝুলিতে অন্তত ২৬টি উইকেটের হিসেবে দাঁড়িয়ে।
তবে, শুধু টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর কথাই বলছি, এর অর্থ এই নয় যে রিশাদের অর্জন আনঅফিসিয়াল। কারণ, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সব দলের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি উইকেট সংগ্রহের শীর্ষে আছেন বলিউডের পেসার রিজওয়ান বাট, জিনি ২৯ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়ে এক নম্বরে অবস্থান করছেন। তার পাশাপাশি অস্ট্রিয়ার দুই পেসার উমাইর তারিক (৩০ ম্যাচে ৪৮ উইকেট) এবং আকিব ইকবাল (৩৬ ম্যাচে ৪৩ উইকেট) উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই শীর্ষ স্থানগুলো শুধু টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকেই নয়, পাশাপাশি আইসিসির সহযোগী দেশগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। এ বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় রিশাদ দশম অবস্থানে থাকলেও, টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে যৌথভাবে শীর্ষ পদে অবস্থান করছেন তিনি।
এ বিষয়ে আরও বলা হয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেসন হোল্ডারও সমান ২৬ উইকেট নিয়ে তালিকার পিছনের দিকে আছেন। হোল্ডার ১৭ ম্যাচে ১৭ ইনিংস খেলে এই সংখ্যায় পৌঁছেছেন, যেখানে রিশাদের তুলনায় পাঁচ ম্যাচ কম খেলেছেন। তবে ইনিংসের হিসাব বললে দেখা যায়, রিশাদ ২১ ইনিংসে ২৬ উইকেট তুলেছেন, আর হোল্ডার ১৭ ইনিংসে ২৬ উইকেট। তবে, ইকোনমি রেট ও বোলিং গড়ের বিচারে রিশাদ কিছুটা এগিয়ে থাকেন।
নিশ্চিতভাবেই, রিশাদের এই অবস্থান তাঁর আরও এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাটিও রেখে দেয়, কারণ বাংলাদেশ এই বছর আরও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। চলতি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ম্যাচ এখনো বাকি, আর নভেম্বরে ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত, রিশাদ এই সিরিজে দুই ম্যাচে তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এভাবেই, এবারের বছর তার জন্য নানা রকম চ্যালেঞ্জের, সম্ভাবনার এবং অর্জনের বছর হয়ে উঠেছে, যেখানে আরও অনেক কিছুই করতে পারেন তিনি, বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য কিছু নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করতে।






