যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২২টি দেশের জাতীয় দলের নতুন বিশ্বকাপজার্সি উন্মোচন করেছেন ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। ইতিমধ্যে কিছু দেশের দল ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে, আবার কিছু দল এখনো সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। এই জার্সিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আর্জেন্টিনার নতুন জার্সি, যা পরের বছর এই বিশ্বকাপে খেলার জন্য প্রস্তুত।বিশেষ করে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম এই নতুন জার্সির পেছনের ধারণা ও ডিজাইনে ব্রাজিলিয়ান ডিজাইনার সের্জিও মারেকোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছে।মারেকো এই জার্সির ডিজাইন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন এবং বলছেন, এটি তৈরি করতে তিনি একা নন, পুরো দলের অবদান রয়েছে এই প্রকল্পের পেছনে। জার্সির এক অনন্য দিক হলো, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের তিনটি জয় (১৯৭৮, ১৯৮৬ ও ২০২২) সময়কার নীল রংগুলোকে এই নতুন জার্সিতে গ্রেডিয়েন্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা।প্রতিটি জয়কালে ব্যবহূত নীল শেডগুলো একত্র করে সেই রঙের বিভিন্ন ধাপে ধাপে প্রভাব তৈরি করা হয়েছে, যা জার্সির ডোরার ভিতরে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এই আধুনিক ডিজাইনটি গ্রেডিয়েন্ট আকারে তৈরি করে সবটুকু আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে।লিওনেল মেসিদের জন্য বিশেষ এই জার্সির ডিজাইনে মারেকো একাই নয়, অ্যাডিডাসের seluruh টিমও ছিল বেশ সক্রিয়। মারেকো বলেন, “এই জার্সির ডিজাইন আমি একা তৈরি করিনি, এটা পুরো দলের যৌথ প্রচেষ্টার ফল। উদ্দেশ্য ছিল মেসির গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে তুলে ধরা। ২০২২ বিশ্বকাপের জয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই সেই রঙগুলো জার্সিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত আর্জেন্টিনা ছাড়াও, মারেকো মেক্সিকোর জার্সির ডিজাইন প্রসঙ্গে বলেন, যেখানে নতুন এক উদ্ভাবনী ধারণা ছিল। তার মতে, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল মেক্সিকোর সংস্কৃতিকে আধুনিক ও সতেজভাবে তুলে ধরা। এমন একটি জার্সি তৈরি করতে চেয়েছিলাম যা দেশটির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকেও ধারণ করে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘মেক্সিকোর পতাকার লাল ও সাদা রঙের পাশাপাশি সবুজ রঙটিও এই জার্সিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেগুলো মেক্সিকোর শক্তিশালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।’আগামী বছর, ১১ জুন থেকে শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোয় বিশ্বকাপ। ডিডিসের ডিজাইনে এই নতুন জার্সিগুলোর মাধ্যমে দেশগুলো নিজেদের অনন্য ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য প্রস্তুত।






