বাণিজ্য ও বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশের পাট শিল্প অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে চায়। তিনি আশ্বাস দেন যে, পাট খাতে যে ভুলগুলো হয়েছিল, সেই ভুল পুনরাবৃত্তি আবার যেন বস্ত্র খাতে না হয়।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘পাট শিল্পে অতীতে অদক্ষতা, অযোগ্যতা, দুর্বৃত্তায়ন এবং অব্যবস্থাপনার কারণে এই শিল্পের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছিল। ভুয়া স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল, যাদের সাথে বাস্তবতার মিল ছিল না। প্রয়োজনীয় কিছু অর্জন না করে শুধুই স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেছেন, ‘আমরা অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে, সবাই মিলে বাস্তবতা ভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেবো। আবেগ বা অহেতুক সিদ্ধান্তে না গিয়ে, কর্মবন্টন ও পরিকল্পনা বাস্তবসম্মতভাবে নেবো।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে আয়োজিত ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড রেইনভেনশন: ক্রিয়েটিং স্কিল্ড প্রফেশনালস ফর দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে সংগঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট সচিব বিলকিস জাহান রিমি। এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘বস্ত্র শিল্পের প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, দেশের বস্ত্র খাত এখন আর শুধু একটি শিল্প নয়, বরং দেশের অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকা শক্তি। এই শিল্পের মাধ্যমে দেশের কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য রেখেছি, বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি অর্জন করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য শিল্প, একাডেমিয়া এবং নীতিনির্ধারকদের একত্রে কাজ করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি না করলে পৃথিবীর বাজারে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্ববাজারে টিকে থাকায় দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন। মধ্যপ্রাচ্যে থাকুক ক্রুড অয়েল, আর আমাদের আছে ১৮ কোটি মানবসম্পদ। এই মানবসম্পদকে দক্ষ করে তুলতে পারলে, বস্ত্র শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে এবং অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত opens হবে।
পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার এক বড় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তৈরি একটি রিভলভিং ফান্ডের মাধ্যমে ১৬০০ এর বেশি উদ্যোক্তার সহায়তা করা হচ্ছে। এই ফান্ড থেকে পাটপণ্য কিনে পুনরায় বিক্রি করে সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০ লাখ পাটের ব্যাগ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী পাটের ব্যাগকে আবার মূলধারায় ফিরিয়ে আনাই সরকারের মূল লক্ষ্য।






