জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দলের খেলোয়াড় আমিরুল ইসলাম। গ্রুপ পর্বে দুটি হ্যাটট্রিকসহ তিনি মোট পাঁচ গোল করেছেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালে ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের বিজয় এসেছে ১৩-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। এই জয় বাংলাদেশের জন্য এটাই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়।
ভারতের মাদুরাই ইন্টারন্যাশনাল হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ দল প্রথম থেকেই দাপট দেখায়। আমিরুলের পাঁচ গোলের পাশাপাশি রাকিবুল হাসান হ্যাটট্রিক করেন এবং মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও মোহাম্মদ সাজু জোড়া গোল করেন।
প্রথম কোয়ার্টারে বাংলাদেশ দ্রুত ৩-০ এগিয়ে যায়, এই সময় আমিরুল পেনাল্টি কর্নার থেকে তিনটি গোল করেন। ওমানের প্রথম কোয়ার্টারে তিন গোল হজম করে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে রাকিবুল হাসান দুর্দান্ত ঝুলক দিয়ে জোড়া গোল করেন।
৩৩তম মিনিটে আবদুল্লাহ আরেকটি গোল করে পার্থক্য বাড়ান, এবং এক মিনিট পরে আমিরুল তার চতুর্থ ও দলের সপ্তম গোল করেন। তৃতীয় কোয়ার্টারেও বাংলাদেশের হয়ে ওবায়দুল হাসান গোল করেন। ম্যাচের শেষ দিকে সাজু দুবার, আমিরুল, রাকিবুল ও আবদুল্লাহ আরও একবার করে গোল করেন।
উল্লেখ্য, ওমানও এবারের প্রথম উপস্থিতিতে জুনিয়র হকিতে অংশ নিয়েছে। গ্রুপ পর্বে তারা তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে, গোল হজম করেছে ২৩টি এবং একটিও গোল করতে পারেনি। তবে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল টিৎান ম্যাচের অপ্রতিরোধ্য পারফরম্যান্সের মাধ্যমে জয়লাভ।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণের দৃঢ়তা দেখা গেছে কারণ ওমানের জন্য গোলের সুযোগ খুবই সীমিত ছিল। তারা চার কোয়ার্টারে তিনটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও কোনো গোল করতে পারেনি।
বাংলাদেশের অ্যাকশন ওমানের থেকে অনেক ভালো ছিল। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ ভালো ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ড্র, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের বিপক্ষে হারও তারা সামলেছে।
তিন ম্যাচের মধ্যে একটি ড্র, দুটি হারে বাংলাদেশের গ্রুপে স্থান হয়েছে তৃতীয়। তবে সব গ্রুপের মধ্যে ষষ্ঠ সেরা স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে তারা ১৭ থেকে ২৫ স্থানের মধ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম ম্যাচে ওমানকে হারিয়ে বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিত হয়েছে স্থান নির্ধারণী সেমিফাইনাল। ফাইনালে জিতলে তারা ১৭তম স্থান অর্জন করতে পারবে।






